জমি কেনাবেচার লেনদেনকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সর্ংঘষে মালদহ শহরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সংঘর্ষের জেরে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পিঠে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর এক কর্মীর বিরুদ্ধে। জখম তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুতীর্থ সাহাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পিঠে তিনটি সেলাই পড়েছে। তবে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছোটন দাস নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে ধরেছে পুলিশ।
দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, “দলেরই দুই গোষ্ঠীর লেনেদেনকে ঘিরে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। দু’গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আলোচনায় বিষয়টি মেটানো হবে।”
দলীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল যুব কংগ্রেস জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ির একসময়ের ঘনিষ্ঠ ছিল ছোটন দাস। সদরঘাটে একটি জমি কেনার জন্য ছোটন দাস ২০১০ সালে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অম্লান ভাদুড়িকে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি সেই টাকা তাঁকে ফেরত দিচ্ছিলেন না। এদিন সন্ধ্যায় ছোটনবাবুর তিন জন সহযোগীকে নিয়ে সদরঘাটে অম্লানবাবুর অফিসে টাকা চাইতে গিয়েছিল। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। হাতাহাতিও হয়। সেই সময় সুতীর্থবাবুর পিঠে ছুরি মারা হয়। বর্তমানে ছোটন তৃণমূল যুব কংগ্রেস টাউন সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের অনুগামী বলে শহরে পরিচিত। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “ছোটনবাবুর সঙ্গে অম্লানবাবুর ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এক সঙ্গে ওঁরা দলও করতেন। এদিন ছোটনবাবু অম্লানবাবুর কাছে টাকা চাইতে গিয়েছেন। তার পরে অম্লানবাবুর লোকজন ছোটনবাবুকে মারধর করেছে বলে শুনেছি।” একই কথা বলে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ছোটনবাবুও অস্বীকার করেছেন।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার কাছে কেউ টাকা পাবে না। ওঁরাও হামলা করেছে।” দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy