গত দু’ বছর ধরে পরের পর অভিযোগ উঠলেও পুলিশ তাঁর কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনি বলে অভিযোগ। অথচ মাথার উপর থেকে তৃণমূলের ছাতা ওঠার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেই পুলিশই তাঁকে ধরতে সক্রিয় হল।
বুধবার বিকেল ৫টা নাগাদ বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সোনা পালকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই হরিরামপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী হানা দেয় সদ্য দল থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোনা পালের বাড়িতে। কিন্তু ঘটনাচক্রে সোনা পাল এ দিন জেলাতেই ছিল না।
বাড়িতে পুলিশি হানা ও তল্লাশির খবরে উদ্বিগ্ন সোনা পাল এদিন টেলিফোনে অভিযোগ করেন, “বাড়িতে পুলিশ ঢুকে দাদাকে হুমকি দিয়েছে। বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত। এসব ঠিক হচ্ছে না।” জেলা পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সোনা পালকে ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে কোনও অনৈতিক কাজ পুলিশ করছে না।” কিন্তু সোনা পালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল, সে প্রশ্নের জবাবে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ সুপার।
জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, অভিযুক্ত দলের যত বড় নেতাই হোন না কেন, আইন আইনের পথেই চলবে। পুলিশ সেই মত ব্যবস্থা নেবে। অবশ্য এত দিন কেন পুলিশ সেই ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন বিপ্লববাবুও। তিনি বলেন, “শুভাশিসবাবুর একের পর এক অপকান্ডে জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার প্রত্যেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। শুভাশিসবাবু নেতৃত্বে সরকারি দফতরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনিক মহলে ভুল বার্তা যাচ্ছিল যা কখনওই কাম্য নয়।”
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে সোনা পাল বলেছেন, “এক তরফা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত সোমবার পঞ্চায়েতের সভায় আমাকে মারধর করা হয়। থানায় ওই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy