ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা দেওয়ায় যুবতী বধূকে খুনের অভিযোগ উঠেছে দেওরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই আমবাড়ি ফাঁড়ির ভান্ডারিগছ এলাকার এক গৃহবধূ নিখোঁজ ছিল বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে নদীর পাড়ের নির্জন এলাকা থেকে বালির মধ্যে মুখ গোঁজা অবস্থায় পুলিশ বধূর দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বধূর পরে থাকা শাড়ির আঁচলের অংশ ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগানো ছিল এবং দু’হাত পেছনে মুড়ে বাঁধা ছিল। ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই বধূর হাত পেছনে বাঁধা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে। এ দিনই অভিযুক্ত দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত খুনের কথা কবুল করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। বধূর স্বামী এবং শাশুড়িকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি ভোলানাথ পান্ডে বলেন, “ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে সূত্র হাতে আসে। সেই মতো বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সকলেই বধূর আত্মীয়। ধৃতদের জেরা চলছে।” দেহ উদ্ধারের পরে এ দিন সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) পিনাকী মজুমদার। বধূর বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দফায় দফায় জেরা করেছেন তিনি।
ঘটনা সম্পর্কে কী জেনেছে পুলিশ?
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ২২ বছরের ওই বধূ জ্বালানি কাঠ আনতে নদীর পাড়ে যান। তার কিছু পরেই অভিযুক্ত দেওর পিছু নিয়ে নদীর পাড়ে পৌঁছে যায়। নির্জন এলাকায় বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। বধূ বাধা দিলে তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরে বধূর দুই হাত পিছনে মুড়ে বেঁধে ফেলে অভিযুক্ত। এরপরে বধূ দেওরকে সরাতে পা ছুঁড়তে থাকে। সে সময়েই বধূর শাড়ির আঁচল ছিড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, জেরায় গোটা ঘটনাটিই অভিযুক্ত কবুল করেছে।
বধূর মামা ফরমুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “শাশুড়ি, দেওর মিলে আমার ভাগ্নির উপর অত্যাচার চালাত। পণের দাবিতেই অত্যাচার চলত। কয়েকমাস আগে জামাইকে নিয়ে ভাগ্নি বাপের বাড়ি চলে যায়। সেখানে কয়েকমাস থাকে। তারপরে শাশুড়িই জোর করে ওকে ফিরিয়ে আনে।” খুনের উদ্দেশ্যেই বাপের বাড়ি থেকে বধূকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল বলে বধূর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল। এ দিকে বধূর শ্বশুরবাড়ির পাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ ইশোর, দিলওয়ার হুসেন, মফিদুর রহমান, ফিরদুস আলমদের অভিযোগ, “বধূর সঙ্গে দেওরের সম্পর্ক ভাল ছিল না। গত মঙ্গলবার বিকেলে দেওয়ারের কথাবার্তা শুনে আমাদের সন্দেহ হয়। ওর পোশাকেও ধস্তাধস্তির চিহ্ন ছিল। সে কারণেই ওকে আটকে রাখা হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy