দুর্ঘটনা এড়াতে লাটাগুড়িতে এলাকার মহিলারাই রাস্তায় নেমে যানজট মুক্ত করার কাজ শুরু করলেন। গত শনিবার রাতে ৩১ সি জাতীয় সড়কের দুইধারে দাঁড়ানো ট্রাকগুলিকে তাঁরাই দলবেঁধে গিয়ে সরিয়ে দেন। কিছু ট্রাক চালক এবং খালাসিরা মহিলাদের গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। তবে একজোট হওয়া মহিলাদের কাছে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হন। গত শুক্রবার লাটাগুড়ি বাজারেই জাতীয় সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক স্কুল ছাত্রীর। পুলিশ জানায়, লাটাগুড়ি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রীর নাম লাকি পারভিন (১৫)।
ঘটনার পর লাটাগুড়ি বাজারকে যানজট মুক্ত করার দাবিতে দেড় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখান স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষিকা, মৃতের পরিজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। ফের শনিবার রাস্তার দুই পাশে গাড়ি দাঁড়াতে শুরু করলে মহিলারা সম্মিলিত ভাবে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। রাত ৮টা নাগাদ এলাকার প্রায় ৩০ জন মহিলারা দল বেঁধে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো গাড়িগুলিকে সরাতে শুরু করে দেন।
চালকদের একাংশ বাধা দিলে মালবাজার থানা এবং ক্রান্তি ফাঁড়ির সঙ্গেও টেলিফোনে যোগাযোগ করেন মহিলারা। এর পরই পুলিশ আসছে শুনে অধিকাংশ ট্রাক জাতীয় সড়কের ধার থেকে চলে যায়। ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি ট্রাককে জরিমানাও করে। মহিলারা তাদের গালিগালাজ করা হয়েছে বলে পুলিশকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন। লাটাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা সোমা নন্দী, প্রিয়াঙ্কা গোপ, অনিন্দিতা দে’র জানান, লাটাগুড়িকে যানজট মুক্ত করা দরকার। শুক্রবারের ঘটনার পর আর বাড়িতে বসে থাকা যায় না। পুলিশ-প্রশাসন আগামীতে ব্যবস্থা না নিলে আমরা স্মারকলিপি দিয়ে নিজেরাই ফের অভিযানে নামব।
এ দিন এই প্রসঙ্গে মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, “মহিলারা যা করেছেন তা প্রশংসনীয়। লাটাগুড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড়ানোর বিষয়টিও শুনেছি। জাতীয় সড়কে গাড়ি রাখা বন্ধ করাতে প্রশাসন এ বার কড়া পদক্ষেপ করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy