ভোটের মুখে যানবাহন ভাড়া নেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে প্রযুক্তির সাহায্য নেবে নির্বাচন কমিশন। একাধিক জেলার মধ্যে এক বাস নিয়ে টানাটানি এড়াতে এ বার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সফটওয়্যারে ভোটের জন্য তুলে নেওয়া যানবাহনের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করছে প্রশাসন।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে কোচবিহারেও যানবাহনের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করানোর কাজ ইতিমধ্যে অনেকটা এগিয়েছে। ভোট পর্ব মেটার পরে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের বাকি প্রশ্নমালা পূরণ করা হলে যানবাহন মালিকদের কম্পিউটার প্রিন্টারে মুদ্রিত বিলের রসিদ পাবেন। যা দেখিয়ে হাতে হাতে যানবাহন মালিকদের অপেক্ষাকৃত দ্রুত প্রাপ্য টাকা পাবেন বলে দাবি করছে প্রশাসন। গোটা পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভেহিক্যালস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “নির্দেশ অনুযায়ী ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে ভোটের জন্য নেওয়া যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন করানো হচ্ছে। এতে একাধিক জেলা থেকে একই বাস নেওয়ার সমস্যা এড়ানো যাবে। মালিকদের বিল মেটানোর কাজও অনেক সহজ হবে।”
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ফি বছর একাধিক জেলার সীমানা ব্যবহার করে যাতায়াতকারী যানবাহন বিভিন্ন জেলা থেকে ভোটের কাজের জন্য নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এমনকী, জেলার ভিতরে দু’টি মহকুমার মধ্যে যাতায়াতকারী বাসের ক্ষেত্রেও দুই মহকুমা প্রশাসন থেকে তা নেওয়ার জন্যর চিঠি ধরানোর ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতির জেরে ভোট সামগ্রী বিতরণের সময় ওই সব বাস একটি মাত্র জায়গায় উপস্থিত হলেও আগেভাগে তা জানতে না পারায় অন্য জেলা বা মহকুমা প্রশাসনকে বিপাকে পড়তে হয়। এ ছাড়াও হাতে লিখে বিপুল সংখ্যক বাসের হিসেব, কিলোমিটার ও তেল খরচের তথ্য যাচাই করে প্রাপ্য মেটাতেও কর্মীদের বিস্তর সময় লাগে। বহু ক্ষেত্রে বাসের বিল নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোটের জন্য নেওয়া বাস সংক্রান্ত তথ্য একসূত্রে গেঁথে কাজ করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে জেলায় জেলায় ভেহিক্যালস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর সফটওয়্যার পাঠানো হয়। অনলাইনে নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে জেলা প্রশাসনের কর্তা থেকে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর পর্যন্ত ওই তথ্য দেখে নিতে পারবেন।
ওই ‘সফটওয়্যার’ এমন ভাবে তৈরি যে কোন গাড়ি এক জেলা থেকে নেওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়ে থাকলে তা অন্য জেলায় নথিভুক্তই হবে না। প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে গাড়ির তালিকা নেওয়া হতো। মহকুমা স্তরেও পৃথক ভাবে গাড়ি তুলে নেওয়া হতো। এতে আন্তঃ জেলা ও দুই মহকুমার মধ্যে চলাচলকারী একই যানবাহন দু’টি এলাকায় ধরা থাকত বলে অন্য এলাকায় সমস্যা হতো। কোচবিহারের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক তাপস বিশ্বাস বলেন, “আমাদের জেলায় ভোটের জন্য ১৩১৫টি যানবাহন দরকার। এরইমধ্যে আমরা ১২২৮টির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যা অবস্থা তাতে এ বার বাইরের রাজ্যের বাস আনার দরকার হবে না। নয়া পদ্ধতির জন্যই এটা সম্ভব হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy