এমনই বেহাল দশা স্টেশনের। নিজস্ব চিত্র।
শেড নেই। তাই বৃষ্টি নামলে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ভেজা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকেনা যাত্রীদের। ষ্টেশন চত্বরে কোথাও পানীয় জলের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। নেই আলোর ব্যবস্থাও। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট রেল স্টেশনে এমনটাই হাল যাত্রী পরিষেবার।
স্টেশনে পৌঁছনোর আগে থেকেই দুর্ভোগ শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের। চকভৃগু এলাকায় মূল রাজ্য সড়ক থেকে বালুরঘাট স্টেশনে পৌঁছনোর জন্য মাত্র পাঁচশো মিটার রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বালুরঘাট-একলাখি সিঙ্গল লাইনে এখনও পুরোনো প্রযুক্তিতেই ট্রেন চলাচল করে। ফলে প্রতিদিনই ট্রেন লেটে চলায় ভোগান্তিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়।
গত শনিবার বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে এসে কাটিহার বিভাগের ডিআরএম অরুণ শর্মা অভিযোগ করেন, বালুরঘাট-একলাখি রেললাইনে প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি রূপায়ণে অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তাই টাকার অভাবে কাজ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বাজেটে অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির তরফেও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ফ্যাক্স পাঠিয়ে যাত্রী পরিষেবার উন্নয়নের দাবি জানানো হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী জানান, রেল উন্নয়ন কমিটির দাবিপত্র রেলমন্ত্রকের কাছে পেশ করা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে দিয়েও প্রস্তাব পেশ করানো হচ্ছে। ডবল লাইন, কলকাতার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ, তেভাগা এক্সপ্রেসে এসি কামরা এবং আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা সহ একগুচ্ছ উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। মূল বাজেটে প্রকল্পগুলি জায়গা না পেলেও পরবর্তীতে অর্ন্তভুক্ত হবে বলে প্রাথমিক আশ্বাস মিলেছে। রেল উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক পীযূষ দেবের বক্তব্য, স্টেশন লাগোয়া রাস্তা মেরামত ও স্টেশনে জল ও আলোর ব্যবস্থা করতে বাজেট বরাদ্দের দরকার হয় না। এদিকে হিলি-বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর কালিয়াগঞ্জ এবং বুনিয়াদপুর-ইটাহার ভায়া হরিরামপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের এই তিনটি নতুন রেলপথ তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহন শুরু না হওয়ায় ‘প্রকল্প খরচ’ দ্বিগুন বেড়ে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। পরের রেল বাজেটে বালুরঘাটের রেল উন্নয়নে ওই জট আদৌ খোলে কিনা সেদিকেই এখন নজর জেলার বাসিন্দাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy