Advertisement
২৭ মে ২০২৪

বহিষ্কৃত নেতার সভা হরিরামপুরে

চলতি মাসের শুরুতেই দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে হরিরামপুরের তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল ওরফে সোনাকে। যদিও, জেলা নেতৃত্বের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত মানেন না বলে দাবি করে দলের নামেই আজ, সোমবার হরিরামপুরে জনসভার ডাক দিয়েছেন সোনা পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৫
Share: Save:

চলতি মাসের শুরুতেই দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে হরিরামপুরের তৃণমূল নেতা শুভাশিস পাল ওরফে সোনাকে। যদিও, জেলা নেতৃত্বের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত মানেন না বলে দাবি করে দলের নামেই আজ, সোমবার হরিরামপুরে জনসভার ডাক দিয়েছেন সোনা পাল। সম্প্রতি দলীয় নেতাদের মারধরের মামলায় অভিযুক্ত সোনা পাল হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন বলে তাঁর আইনজীবী অভীক সিংহ জানিয়েছেন। নিজের সাংগঠনিক শক্তি যাচাইয়ের জন্যই এবার তিনি সভা ডেকেছেন বলে দলেরই একাংশ মনে করছেন। সভার জন্য নিয়ম মেনে পুলিশ প্রশাসনের থেকে অনুমতিও আদায় করা হয়েছে বলে সোনাবাবু দাবি করেছেন। সোনাবাবুর দাবি, তিনি দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের তৃণমূলের দলনেতা। তাই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন একমাত্র দলের জেলা পর্যবেক্ষক পূর্ণেন্দু বসু অথবা রাজ্য নেতৃত্ব। জেলা নেতৃত্বের তাঁকে বহিষ্কারের কোনও এক্তিয়ার নেই বলে সোনাবাবুর দাবি। এ দিনের সভায় অবশ্য সারদা কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের চক্রান্তের প্রতিবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যদিও, এদিন তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা আইন পরিষদীয় সচিব বিপ্লব মিত্র বলেন, “দলের সর্বোচ্চ নেত্রী এবং মুকুল রায়ের নির্দেশে সোনা পালকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এখন তিনি দলের কোনও কর্মসূচি সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না। তাই হরিরামপুরের ওই সভা দলের সভা নয়। দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দলের হরিরামপুরের ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সভাপতিকে মারধরের অভিযোগে গত ৩ ডিসেম্বর দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোনা পালকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের কথা বলেন। এরপরই মারধরে অভিযুক্ত সোনা পালকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তত্‌পরতা বাড়ালে সে কলকাতায় গিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্ব তথা এই জেলার দলের তরফে পর্যবেক্ষক কৃষি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর সঙ্গে দেখা করেন বলে জানা যায়। দলের একাংশের দাবি, রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েই দলের ব্যানারে সভা ডেকেছে বহিষ্কৃত নেতা।

জেলায় দলের পর্যবেক্ষক কৃষি মন্ত্রী পূর্ণেন্দুবাবু অবশ্য এ দিন বলেন, “দলের সাংগঠনিক কোনও সমস্যা দেখা দিলে সংগঠনগত ভাবে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।” দলের জেলা সভাপতি বিপ্লববাবু অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে দলের কোনও দায় নেই। প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

leader suspended harirampur balurghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE