উত্তর দিনাজপুরের গুঞ্জরিয়া এলাকায় মালগাড়ির চাকার বেয়ারিং বিকল হয়ে যাওয়ায় রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দার্জিলিং মেল, পদাতিক থেকে শুরু করে ডিএমইউ, প্যাসেঞ্জার মিলিয়ে অন্তত ১০টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। সব ট্রেনগুলি গড়পরতা ২ ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করেছে। যার জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বারওনিগামী একটি তেলের ট্যাঙ্কারের বেয়ারিং ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশন পার হতেই বিকল হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানানো হয়েছে। ট্রেনের চাকার উপরের অংশ থেকে আগুনের ফুলকি বের হতে দেখা যায় বলে রেল কর্মীরা জানান। গুঞ্জুরিয়া স্টেশন ঢোকার মুখেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। যদিও, ট্রেন থানার পরে আগুনের ফুলকতি দেখা যায়নি বলে জানানো হয়েছে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, দমকল পৌঁছানোর আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ট্রেনের চাকার বিয়ারিং বিকল হয়ে যাওয়ায় এক্সেল গরম হয়ে ফুলকি বের হতে শুরু করেছিল বলে জানানো হয়। ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্থ ওয়াগানটি ইসলামপুরের আলুয়াবাড়ি স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। কলকাতাগামী লাইনে দীর্ঘক্ষণ মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় দু’দিকেই ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
আলুয়াবাড়ি স্টেশনে হাওড়াগামী কামরূপ এক্সপ্রেস প্রায় ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। বুনিয়াদপুরগামী ডিএমইউ ট্রেনও একই স্টেশনে ঘণ্টা দেড়েকেরও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকে। তিনমাইল হাট স্টেশনে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে, গুঞ্জুরিয়া এলাকাতে ট্রেনগুলি ডাউন লাইন থেকে আপ লাইনে এনে চালানো হচ্ছে। যার ফলে এই সময়ে চলাচলকারী প্রায় সব কটি ট্রেনই দেরিতে চলাচল করেছে।
এই ঘটনার জেরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে কলকাতাগামী দার্জিলিং মেল, কাঞ্চনকন্যা এবং পদাতিক এক্সপ্রেসও দেরিতে ছেড়েছে। নির্ধারিত সময়ের অন্তত ২ ঘণ্টা পরে ট্রেনগুলি ছেড়েছে। রাত দশটার পরে দার্জিলিং মেল ছাড়ে। হাওড়াগামী সরাইঘাট এক্সপ্রেসকে আমবাড়ি স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। কাটিহার স্টেশনে অবোধ অসম এক্সপ্রেস এবং কিসানগঞ্জে আপ বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখলেও, কী কারণে তা রেলের তরফে যথাযথ ভাবে জানানো হয়নি। সে কারণে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে। কোন ট্রেন কখন ছাড়তে পারে তারও যথাযথ ঘোষণার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
নিউ জলপাইগুড়ি যাত্রী কল্যাণ সমিতি দীপক মোহান্তি বলেন, “নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কিশানগঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। যার জেরে যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। কোন ট্রেন কখন ছাঁড়বে তার কোনও আগাম ঘোষণা না হওয়ায় যাত্রীদের নাকাল হতে হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy