দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। মালদহের নারায়ণপুরে মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
পাথর বোঝাই লরি ও একটি ছোট গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় চালক সহ আবগারি দফতরের ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন আবগারি বিভাগের এএসআই সহ আরও চার কনস্টেবল। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ির নারায়ণপুরের শিমূল ঢাপ এলাকায়। ফলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট হয়। পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন কৃষ্ণপদ হালদার (২৭)। তাঁর বাড়ি পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকায়। তিনি ছোট গাড়িটির চালক ছিলেন। মৃত অন্য দু’জন হলেন, অমৃতকুমার রায় (২৫)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জে। আর এক জনের নাম নীলু রায় (২৪)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে। তাঁরা দু’জনের আবগারির কনস্টেবল ছিলেন। দু’জনই দু’মাস আগে কাজে যোগ দিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় জখমেরা।
আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন একটি গাড়িতে করে এএসআই বিষ্ণুপদ দাসের নেতৃত্বে ৬ জন কনস্টেবল বামনগোলার পাকুয়ায় অভিযানে যান। তাঁরা গাজলে অভিযান চালিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে মালদহে ফিরছিলেন। পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের কাছে মালদহ থেকে গাজলগামী একটি পাথর বোঝাই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় ছোট গাড়িটিতে থাকা আবগারি দফতরের কর্মীরা গুরুতর ভাবে জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা কৃষ্ণবাবু ও অমৃতবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে মারা যান নীলু রায়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিত্সাধীন রয়েছেন রাজু বর্মন ও সুব্রত বর্মন নামে দুই কনস্টেবল।
ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন ওই দফতরের আধিকারিকেরা সহ অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) দেবতোষ মন্ডল ও জেলার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। আবগারি দফতরের জেলা আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “জেলা জুড়েই বেআইনি পোস্ত চাষ ও বেআইনি ঠেকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। সাত জনের একটি দল পাকুয়া ও গাজলে অভিযান চালাতে যায়। ফেরার সময় একটি পাথর বোঝাই গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। গাড়ির চালক সহ তিন জন মারা গিয়েছেন। আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের লোকেদের খবর দেওয়া হয়েছে।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy