বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জলপাইগুড়ি বার অ্যাসিয়েশনের সম্পাদক পদ দখলে করল তৃণমূল প্রভাবিত আইনজীবী সংগঠন। সোমবার, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন বিদায়ী সম্পাদক তথা কংগ্রেস সমর্থিত সম্পাদক পদের প্রার্থী অভিনন্দন চৌধুরী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মনোনয়ন পেশের সময় কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী অভিনন্দনবাবুকে সমর্থন করে বাম সংগঠনের তরফে সম্পাদক পদে কোনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি। অভিনন্দনবাবু এ দিন দলে যোগ দেওয়ার পরে, তৃণমূলও সম্পাদক পদ থেকে নিজেদের পূর্বঘোষিত প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে অভিনন্দনবাবুর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই আইনজীবীরা মনে করছেন।
আগামী ১৩ জুন বার অ্যাসোসিয়েশনের ১৫ জন কার্যনির্বাহী সদস্য সহ ২২ জন পদাধিকারী পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ দিনের দলবদল, প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘটনার পরে সম্পাদক পদ ছাড়া অনান্য পদে ওই দিন ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে। ভোটের আগেই বাম এবং কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীকে দলে টেনে সম্পাদক পদটি ‘দখল’ করাকে কৌশলগত সাফল্য বলে তৃণমূল দাবি করলেও, স্বভাবতই বাম এবং কংগ্রেসের তরফে ধিক্কার জানানো হয়েছে।
এ দিন অভিনন্দনবাবুকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল প্রভাবিত আইনজীবী সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বার কাউন্সিল সদস্য গৌতম দাস। তিনি বলেন, “জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর সন্মতি পেয়েই অভিনন্দন চৌধরীকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিনন্দনবাবুকে সমর্থন জানিয়ে দলের পূর্বঘোষিত প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।” এ দিন অভিনন্দনবাবু বলেন, “জলপাইগুড়ির উন্নয়ন এবং জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোশিয়েশনের স্বার্থে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের সদস্য পদও ছেড়ে দিয়েছি।” মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেশ দিনে এই ঘটনায় বাম মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। বামপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন আইনজীবি সমিতির সহ সভাপতি সুজিত সরকার বলেন, “অভিনন্দন চৌধুরী সব আইনজীবিদের প্রতারিত করেছেন। সকলের সমর্থন নিয়ে তিনি সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তিনি যে ভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন তৃণমূলে যোগ দিলেন তা নিন্দার ভাষা নেই। এই ঘটনাকে আমরা ধিক্কার জানাই।” জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি এবং আইনজীবী নির্মল ঘোষদস্তিদার বলেন, “আইনজীবীদের সঙ্গে অভিনন্দন চৌধুরী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy