দলের নেতাদের বক্তৃতা শেষ হওয়ার আগেই কর্মী-সমর্থকদের একাংশ সমাবেশের মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন মালদহ জেলা সিপিএম। শনিবার রতুয়ায় থানা সংলগ্ন ময়দানে সিপিএমের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশ্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্য স্তরের নেতাদের বক্তৃতা তখনও বাকি। তার আগেই মাঠ থেকে শ্রোতা-দর্শকদের উঠে চলে যেতে দেখা যায়। কয়েকজন সিপিএম কর্মীকে বলতে শোনা যায়,“ভেবেছিলাম, সভাতেই হয়তো নেতারা আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে স্পষ্ট দিশা দেবেন। কী ভাবে আন্দোলন আরও জোরদার করা যাবে তা নির্দিষ্ট ভাবে বলবেন। কিছুই কেউ বলেননি দেখে চলে যাচ্ছি।”
এদিন রতুয়ার থানা সংলগ্ন ময়দানে দুপুর ৩টে নাগাদ সিপিএমের প্রকাশ্য জন সমাবেশ শুরু হয়। তার আগে রতুয়া স্টেডিয়ামে সিপিএমের ২১তম জেলা সম্মেলনের সূচনা হয়। রাজ্যে পালা বদলের পরে এটি দ্বিতীয় জেলা সম্মেলন। সম্মেলনে রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সাংসদ মহম্মদ সেলিমের থাকার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবতী, রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মইনুল হাসান সহ জেলার নেতারা।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামলবাবু ও রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মইনুল হাসান দুজনেই মূলত সারদা কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। ‘চোর’ বলে কটাক্ষ করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে। তবে আগামী পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কোনও বার্তা দেননি তাঁরা। তাই সমাবেশের পরে আশাপুর গ্রামের সিপিএম কর্মী খাবিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এখানে জেলা সম্মেলন হল, নেতারা স্থানীয় সমস্যা নিয়ে একটা কথাও বলবেন না সেটা ভাবতেই পারছি না। তা হলে স্থানীয় মানুষজনকে পুরভোটে পাশে পেতে ঘাম তো ঝরবেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy