সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্রভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করেছিল এনএসজি। সেই ব্যাগ তারা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল। এনএসজি সিবিআইকে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিল। এনএসজির রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
শুক্রবার অভিযান শেষে এনএসজি একটি ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে যায়। কী ছিল ওই ব্যাগে তা নিয়ে কৌতূহল শুরু হয়েছিল। সূত্রের খবর, সিবিআইকে দেওয়া রিপোর্টে এনএসজি জানিয়েছে, ওই ব্যাগে দু’টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এ ছাড়াও বেশ কিছু কার্তুজ এবং বিস্ফোরকও পাওয়া গিয়েছে ব্যাগে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, এই মামলায় জনা দশেক ব্যক্তিকে তলব করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এনএসজি-র দেওয়া রিপোর্ট আদালতে দেবে সিবিআই।
গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বেশ কিছু অস্ত্র। এর পরেই এনএসজিকে খবর দেওয়া হয়। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র নিয়ে এসে দিনভর সন্দেশখালিতে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায় এনএসজি। বেশ কিছু বোমা নিষ্ক্রিয়ও করা হয়। বন্দুক, পিস্তল, কার্তুজ এবং একাধিক রসিদ পায় সিবিআই। সেই রসিদে শাহজাহানের নাম ছিল। কলকাতার দোকান থেকে সেই কার্তুজ কেনা হয়েছিল বলে জানতে পারে সিবিআই।
আবু তালেবের বাড়ি থেকে কী কী অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল, তা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে তিনটি বিদেশি রিভলভার, একটি ভারতীয় রিভলভার, কোল্ট সংস্থার তৈরি পুলিশের ব্যবহার করার একটি রিভলভার, বিদেশে তৈরি একটি পিস্তল, একটি দেশি বন্দুক, ৯ মিলিমিটারের ১২০টি বুলেট, পয়েন্ট ৪৫ ক্যালিবারের ৫০টি কার্তুজ, ৯ মিলিমিটার ক্যালিবারের ১২০টি কার্তুজ, পয়েন্ট ৩৮০ কার্তুজ ৫০টি, পয়েন্ট ৩২ কার্তুজ আটটি।
এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নিজেদের কাছে রাখার আবেদনও জানানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া একটি রিভলভারের লাইসেন্স ছিল শাহজাহানের ভাই আলমগিরের নামে। এ ছাড়াও, আবু তালেবের স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, শাহজাহানের ডেরা থেকে বিদেশি অস্ত্রও পেয়েছিল সিবিআই। তাদের অনুমান, সন্দেশখালিতে জমি জবরদখল করে শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা যে টাকা পেয়েছেন, তা দিয়েই অস্ত্র কেনা হত। অস্ত্রের কারবারের সঙ্গে সেই টাকার যোগ রয়েছে। আদালতে সেই কথা জানিয়েছে সিবিআই। শাহজাহানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy