আদালতে হাজির নুসরত জাহান। — ফাইল চিত্র।
আলিপুর আদালতে শনিবার সকালে হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। সশরীরে হাজিরা দিয়ে আগাম জামিনের আবেদন করেন বসিরহাটের সাংসদ। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে নুসরতের বিরুদ্ধে।
গত ১৬ জানুয়ারি আলিপুর জজ কোর্ট জানিয়েছিল, আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে নুসরতকে। নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন বিচারক। মামলাটি বিচারাধীন ছিল আলিপুর আদালতে। আলিপুর আদালত এই মামলায় অভিনেত্রীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নুসরত। সেখানেও ধাক্কা খান।
অভিযোগ, প্রতারণার ঘটনায় যে সংস্থার নাম জড়িত, নুসরত এক সময় তার ‘ডিরেক্টর’ পদে ছিলেন। ২০১৪-১৫ সালে ৪০০-র বেশি প্রবীণ নাগরিকের থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিল এই সংস্থা। বদলে তাঁদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাঁরা সেই ফ্ল্যাট পাননি। টাকাও ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। সাংসদ-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। ইডির কাছেই সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।
আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারীরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশ এবং ইডির গোয়েন্দারা। বস্তুত, ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’র মামলায় তৃণমূল সাংসদকে ডেকে পাঠায় ইডি। গত সেপ্টেম্বরে সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরতকে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তবে ওই ঘটনার পর পরই কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরত জানান, অভিযোগ যখন করা হয়েছে, তার অনেক আগেই তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তিনি জানান যে, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি শোধ করে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy