তৃণমূল সাংসদ নুসরত জহান ও বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সব সাংসদ তখন বি আর অম্বেডকরের মূর্তির সামনে মোদী-বিরোধী ধর্নায়। দলছুট শুধু নুসরত জহান! বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তখন সেন্ট্রাল হলে সেই নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতাতেই মগ্ন!
কিমাশ্চর্যম! প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই দলবিরোধী আচরণ ?
তৃণমূল শীর্ষ সূত্রের বক্তব্য, দলের বিরোধিতা নয়, নিছকই ভুল বোঝাবুঝিতে এই কাণ্ড। গত কালই তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সব সাংসদকে এসএমএস করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আজ সকাল ১০টায় দলের সংসদীয় অফিসে হাজির থাকতে হবে। সেই বার্তা দেখে উঠতে পারেননি নুসরত। ফলে তিনি জানতেন না দলের এ দিনের কর্মসূচি। পরে সেন্ট্রাল হলে গিয়ে সংবিধান গ্রহণের ৭০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানটি হতে দেখে বসে যান সেখানেই। অনুষ্ঠান শেষে তৃণমূল সাংসদেরা যখন সংসদে নিজেদের ঘরে এলেন, তখন সেখানে পৌঁছে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হন নুসরত।
গোটা কাণ্ড দেখে সংসদে বিজেপি শিবির, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদেরা যখন রসিকতায় মেতে, তখনই খবর আসে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ‘ভুল করে’ সকালে পৌঁছে গিয়েছিলেন অম্বেডকরের মূর্তির সামনে মোদী-বিরোধী গণতন্ত্র বাঁচাও ধর্নায়! সেখানে মিনিট সাতেক থেকে মুর্মু বুঝতে পারেন, বড় ভুল হয়ে গিয়েছে! এটি বিরোধীদের ডেরা। তার পর সেখান থেকে প্রায় ছুটে বেরিয়ে সেন্ট্রাল হলে ফেরেন মুর্মু। সব শুনে দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপি সাংসদদের সরস মন্তব্য, ‘আরে এ তো খেলা ১-১ হয়ে গেল!’
পাল্টা টিপ্পনী তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের, ‘‘ওই বিজেপি সাংসদকে ধন্যবাদ! উনি সাত মিনিটের জন্য হলেও দেশের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে আমাদের সঙ্গে ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy