ভাষণ দিচ্ছেন বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেন। ফাইল চিত্র
শো-কজ়ের জবাব দিলেন বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেন। সূত্রের দাবি, তিনি সেখানে জানিয়েছেন, যে এলাকাটি সম্পর্কে তিনি কিছু কথা বলেছিলেন বলে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, সেই এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি বলে সেখানকার লোকজনই তাঁকে জানিয়েছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে তিনি বা জেলা পুলিশের কোনও বড়কর্তাই মুখ খুলতে চাননি। সন্দীপ শুধু বলেন, “শো-কজ়ের উত্তর দিয়েছি। বিষয়টি বিভাগীয়।”
ঘটনাচক্রে, ওই ওসির ফেসবুকে বৃহস্পতিবার রাতে ‘মুকদ্দর কা সিকন্দর’ সিনেমার একটি জনপ্রিয় গানের ‘জিন্দেগি তো বেওয়াফা হ্যায়, এক দিন ঠুকরায়েগি’ অংশটি ‘আপলোড’ করা হয়েছে। তবে সে প্রসঙ্গেও ওসি কোনও উত্তর দিতে চাননি। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস অবশ্য বলেন, “শাসক দলের অন্দরের কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এসে ওই ওসি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন। এক দিকে ধর্মযুদ্ধ, অন্য দিকে কর্মযুদ্ধ— এই দু’য়ের মাঝে পড়ে উনি এ সব করছেন।”
পুলিশ ও প্রশাসনের একটি অংশের কাছে কাটমানি যায় বলে সন্দীপকে ওই ভিডিয়োয় যা বলতে দেখা গিয়েছিল (ভিডিয়োটির সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি), তা নিয়ে কান্দির বিধায়ক, তৃণমূলের অপূর্ব সরকার এ দিনও বলেন, ‘‘ওই ওসি যদি সত্যি কথা বলে থাকেন, তা হলে তার প্রমাণ দিন। এ ছাড়া, তিনি কী করছেন, ফেসবুকে কী দিচ্ছেন, এ সবের উপরে নজর রাখার সময় আমার নেই।’’ বড়ঞার তৃণমূলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এ দিন বলেন, ‘‘আমি দু’দিন ধরে পরিবারের সঙ্গে তিরুপতিতে রয়েছি। কিছুই জানি না।’’
ভিডিয়োটি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অবশ্য ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এ দিন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে বিষয়টা ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে বাধ্য তাঁকে শো-কজ় করা হয়েছে। দু’-একজন পুলিশ ছাড়া তৃণমূলের সঙ্গে কেউ-ই নেই। যে সব পুলিশের কাজ শুধু শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আর পরিবারের লোকজনদের খোঁজ খবর রাখা।’’
ওসি-র ভাইরাল হওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বরাদ্দ অর্থের একশো শতাংশ সদ্ব্যবহারে সরকার কোনও আপস করবে না। তবে তা নিয়ে কে, কোথায় আলোচনা করতে পারেন বা তা প্রশাসনিক রীতিনীতির মধ্যে পড়ে কি না, তা নিয়ে দলের কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy