মঙ্গলবার দুপুরে জাগুলিয়া মোড়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন জয়িতা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে।
প্রতীকী ছবি।
মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক ছাত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার নদিয়ার হরিণঘাটায় অভিযান চালিয়ে জয়িতা দাস নামে ওই ছাত্রীকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর একটি দল। বুধবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ময়দান এলাকা থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। যার মধ্যে প্রচুর মাওবাদী লিফলেট পাওয়া যায়। ওই লিফলেট কোথা থেকে এবং কারা ছাপায়, এর তদন্তে নামে এসটিএফ। সেই সূত্রেই মুর্শিদাবাদ থেকে কিছু দিন আগে গ্রেফতার হন প্রতীক ভৌমিক ও হাসিবুক শেখ নামে দুই ব্যক্তি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী জয়িতার নাম।
জয়িতাকে ধরতে এর পরেই জাল বিছায় এসটিএফ। তাতেই মাওবাদীদের সঙ্গে জয়িতার যোগসাজশের একাধিক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে আসে। তাঁরা জানতে পারেন, সংগঠনের প্রথম সারির নেত্রীদের মধ্যে এক জন জয়িতা। এর পরই তাঁর গতিবিধি উপর নজর রাখতে শুরু করেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, ঝাড়খণ্ডের নাগরাকাটা জঙ্গলে মাওবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জয়িতার। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ একত্রিত করে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় এসটিএফ।
মঙ্গলবার দুপুরে জাগুলিয়া মোড়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন জয়িতা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ কী ভাবে, সংগঠনের কোন দায়িত্বে ছিলেন, কোন কোন শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে, শহরে কোথায় কোথায় মাওবাদী ঘাঁটি রয়েছে, আর কারা কারা মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত— জয়িতাকে জেরা করে এই সব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy