ডেঙ্গি নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে নেমে পড়ল রাজ্য সরকার। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জন্য আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকেই দায়ী করে সরকারের অভিযোগ, এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বরং পশ্চিমবঙ্গের থেকে অন্য রাজ্যগুলিতে মশাবাহিত রোগে মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এই দাবির সমর্থনে মঙ্গলবার নবান্নে পরিসংখ্যানও পেশ করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয়কুমার দে।
এ দিন মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, গত বছর এ রাজ্যে মোট ২০১৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা হল ১৮ হাজার ২৩৮। তার মধ্যে চিকুনগুনিয়া, সোয়াইন ফ্লু-র মতো মশাবাহিত রোগে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। এবং ৩৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
মুখ্যসচিবের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অন্য রাজ্যের ছবিটা আরও সঙ্গীন। তিনি বলেন, “মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মহারাষ্ট্রে ৬৮৫, গুজরাতে ৪৩৪, রাজস্থানে ২৩০, উত্তরপ্রদেশে ১৬৫, কেরলে ১১১ এবং তামিলনাড়ুতে ১২০ জন মারা গিয়েছেন।”
বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, ডেঙ্গি নিয়ে আসল পরিসংখ্যান গোপন করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সে অভিযোগ খণ্ডন করে মুখ্যসচিব বলেন, “লুকোব কেন? আমরা কিছুই লুকোচ্ছি না। বরং এখন থেকে প্রতি দিন স্বাস্থ্য দফতর থেকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান দেওয়া হবে।” রাজ্যে ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত— সর্বস্তরেই কড়া হাতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মলয়বাবু। তিনি বলেন, “মশার বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে। পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।” এ ছাড়া, ডেঙ্গি হলেও তার রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিতে হবে বলেও সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একে নোটিফায়েবল ডিজিজ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রোটোকল মেনে প্রেসক্রিপশনে তা ডেঙ্গি বলে লিখতে হবে বলেও নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।
আরও পড়ুন
বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, 'কিছুই হয়নি' ভাব প্রশাসনের
এ বার নতুন মৃত্যুদূত রূপে হাজির লালপোকা
খেলা না থাকলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেই ব্যস্ত থাকতেন লিয়েন্ডার!
মাত্র ন’দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গিতে শহরে দু’টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মূলত রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল দশাকেই তার জন্য দায়ী বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু, সরকার এর জন্য আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকেই দায়ী করেছে। মলয়বাবু বলেন, “কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।” গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে রাজ্যে ডি-২ এবং ডি-৪ টাইপের ডেঙ্গি বেড়েছে বলেও দাবি সরকারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy