উলুবেড়িয়া লোকসভা এবং নোয়াপাড়ায় বিধানসভার উপনির্বাচন অভিযোগহীন বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মসূচিতে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘এক জনকেও খুঁজে বের করতে পারবেন, যিনি বলেছেন, ভোট দিতে পারেননি? কোথাও দেখা গিয়েছে যে, ভোট দিতে গিয়ে কেউ বাধা পেয়েছে?’’ আর এ দিনই প্রকাশ্যে এসেছে, উলুবেড়িয়ার বাগনান বিধানসভা কেন্দ্রের চন্দ্রভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথভিত্তিক ফলাফলের হিসেব। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই অঞ্চলের ১৯টি বুথ মিলিয়ে তৃণমূল পেয়েছে ১২৭১৪টি ভোট। যেখানে বাকি তিন বিরোধী বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট হল ৭৯৫, ৩২৭ এবং ১০১। আরও অবাক করা বিষয়, ওই অঞ্চলের ১৯টি বুথের মধ্যে ৯টিতে আবার তিন বিরোধী মিলিত ভাবে ২০-র বেশি ভোট পায়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী শাক দিয়ে মাছ ঢাকার যতই চেষ্টা করুন, চন্দ্রভাগের ভোট ভাগাভাগিই বুঝিয়ে দিচ্ছে, উলুবেড়িয়া লোকসভায় পৌনে ৫ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের জয়ের রহস্য আসলে কী।
বাগনানের চারটি বুথের ফল
বুথ তৃণমূল বিজেপি কংগ্রেস সিপিএম
• ১৬৭ ৭৭৫ ৪ ০ ৯
• ১৬৮ ৮৭০ ১ ২ ৭
• ১৭১ ৫৪৯ ০ ১০ ১
• ১৭৮ ৬৮৯ ৩ ০ ৩
এই হিসাব তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাতে ব্যঙ্গ করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ফুল-মালা এবং মিষ্টিও পাঠিয়েছেন তিনি। বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘বাগনানের এই ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের কী হাল। সুষ্ঠু ভোট হলে দুই কেন্দ্রেই তৃণমূল হারত।’’ কৈলাসের আরও প্রশ্ন, ‘‘মানুষ যদি সঙ্গেই থাকে, তা হলে দুই কেন্দ্রে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়ার সাহস কেন দিদি দেখাতে পারলেন না?’’ কৈলাসের এই কথার জবাবে না বললেও বিধানসভায় এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জেতার ঢাল হিসাবে ব্যবহার
করেছেন সেই মানুষকেই। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ কষ্ট করে ভোট দিল! আর আপনারা (বিরোধীরা) মানুষের মতকে অশ্রদ্ধা করছেন!’’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অবশ্য চ্যালেঞ্জ, ‘‘অশ্রদ্ধার প্রশ্নই নেই। মুখ্যমন্ত্রী বরং পারলে একটা ভোট অবাধ করিয়ে দেখান। তা হলে বোঝা যাবে, কে কোথায় দাঁড়িয়ে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy