শুধুমাত্র যে পরীক্ষার্থীরা ২০১৭ সালের পরীক্ষায় ফেল করেছেন তাঁদের নতুন করে মার্কশিট দেওয়া হবে। ছবি: ফাইল চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট-১ পরীক্ষায় ফেল করা পড়ুয়াদের ফল পুরনো নিয়মে আবার প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিল সিন্ডিকেট।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্যেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০০৯ সালের নিয়মেই নতুন করে ফল প্রকাশ করা হবে। তবে, শুধুমাত্র যে পরীক্ষার্থীরা ২০১৭ সালের পরীক্ষায় ফেল করেছেন তাঁদের নতুন করে মার্কশিট দেওয়া হবে। যদিও সেই সংখ্যাটি কত তা এ দিন জানাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ সালের স্নাতকের পার্ট ১-এর ফল প্রকাশে দেখা যায় কলা বিভাগে ৫৭.৫০ শতাংশ ফেল করেছেন। বিজ্ঞানে পাশের হার কমে যায় ১০ শতাংশ। পড়ুয়াদের দাবি, ২০১৬ সালের নতুন নিয়মের এ বছর পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত সেই নিয়মই তাঁরা জানতেন না। তার পর থেকেই পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন ফেল করা ওই পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে লাথি মারা থেকে শুরু করে দফায় দফায় কয়েক দিন আন্দোলন চলে। এ দিনও বেলা ১২টা থেকে পৃথক ভাবে আন্দোলন করে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পাশাপাশি ছিলেন অন্য পড়ুয়ারাও। মাঝে মধ্যে দু’পক্ষের বচসাও হয়। পরে সিদ্ধান্ত জানার পরে আবিরও খেলেন পড়ুয়াদের একাংশ।
একটা অংশের মতে, এর মধ্যেই ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন কয়েক দিন আগে ডুমুরজলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করেন। সেই সূত্রে শিক্ষামন্ত্রী বিধানসভায় জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটকে অনুরোধ করেছেন যে পুরনো নিয়মই বহাল রাখা হোক। তবে পড়ুয়াদের পঠন পাঠনেও মন দিতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, তেতো হয়ে গেল ভাত
আরও পড়ুন: নেশা বন্ধ কী ভাবে, চিন্তায় যাদবপুর
এ দিন সিন্ডিকেট বৈঠকের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ২০১৬ সালের পরিবর্তে ২০০৯ সালের পরীক্ষার নিয়মই বহাল থাকল। ওই নিয়মেই যে হেতু পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছিলেন তাই সেই নিয়ম মেনেই ফল প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করে সিন্ডেকেট। তাই ফেল যাঁরা করেছেন, তাঁদের নতুন করে মার্কশিট দেওয়া হবে।’’ একই সঙ্গে সাপ্লিমেন্টারি ব্যবস্থাও থাকবে।
পুরনো নিয়মে অনার্সের পড়ুয়াকে জেনারেলের কোনও একটি বিষয়েও পাশ না করলেই হত, নতুন নিয়মে একটি বিষয়ে পাশ বাধ্যতামূলক হয়। একই ভাবে জেনারেলে পুরনো নিয়মে একটি বিষয়ে পাশ করলেই হত, কিন্তু নতুন নিয়মে দু’টি পাশ করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম পরিবর্তনের জন্যই ফেলের সংখ্যা এ ভাবে বেড়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
উপাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘পুরনো নিয়মে ২০১৬ সালে পাশ করা পরীক্ষার্থীদের সংখ্যার সঙ্গে ২০১৭ সালের সংখ্যার খুব একটা ফারাক নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও ভুলই সিন্ডিকেট সংশোধন করে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। যাতে পড়ুয়ারা সুবিচার পায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy