অ্যাপোলো গ্লেনেগেলস হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে মঙ্গলবার নোটিস পাঠাল ফুলবাগান থানা। সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসার যাবতীয় নথি তিন দিনের মধ্যে থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। এ দিকে, এ দিনই হাসপাতালে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতরের নিজস্ব তদন্তকারী দল। স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, দ্রুত ওই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার ব্যাপারে নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ রয়েছে।
পাশাপাশি, এ দিনই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও কড়া নজরদারি শুরু হবে। প্রয়োজনে তিনি নিজে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করবেন।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সঞ্জয় রায়ের চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল কি না, চিকিৎসার বিল অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছিল কি না ইত্যাদি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার থেকে তদন্তের কাজ শুরু করল স্বাস্থ্য দফতরের ছয় সদস্যের কমিটি। এ দিন দুপুর দুটোয় তাঁরা অ্যাপোলো হাসপাতালে পৌঁছন। একাধিক কর্তার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁরা চিকিৎসার বিভিন্ন নথিও খুঁটিয়ে দেখেন। কখন সঞ্জয়কে হাসপাতালে আনা হয়েছিল, কখন চিকিৎসার কাজ শুরু হয়েছিল, কখন পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়েছিল, সবটাই দেখেন তাঁরা। বুধবার সঞ্জয়ের পরিবারকেও ডেকেছেন তদন্তকারীরা।
ওই কমিটিতে রয়েছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিয়াক অ্যানাস্থেসিওলজির প্রধান শম্পা দত্তগুপ্ত, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রেডিওলজির প্রধান অশোক ভদ্র, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সার্জারির প্রধান গৌতম ঘোষ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের প্রধান জয়ন্ত দাশগুপ্ত এবং স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সচিব সুবীর চট্টোপাধ্যায়।
অ্যাপোলো সূত্রে খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্তারা কলকাতায় পৌঁছেছেন। আপাতত দিন কয়েক তাঁরা কলকাতাতেই থাকবেন। স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা এ দিন সরাসরিই কথা বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy