মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় চার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ। ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি-র দলীয় প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, বিজেপি-র নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো-সহ অজ্ঞাত পরিচয় কিছু ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৫, ১৪৭, ১৪৯, ২৮৩ এবং ৩৫৩ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির রাস্তা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কাছে পৌঁছে যান সুকান্তেরা। পুলিশ বাধা দিলে সেখানেই মৃতদেহ নিয়ে বসে পড়েন তাঁরা।
গত বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ধূর্জটি ওরফে মানস। তিনি বুধবার মারা যান। অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের দিন গণনাকেন্দ্র থেকে বেরোতেই তৃণমূলের লোকজন লাঠি-রড-ইট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। মাস দু’য়েক চিকিৎসার পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। কিছু দিনের মধ্যে তাঁর ফের শরীর খারাপ হলে ঠাকুরপুকুরের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বুধবার সেখান থেকে তাঁর ছুটি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসেননি।
বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য দফতর থেকে সুকান্তর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা মানসের মৃতদেহ নিয়ে রওনা হন। বিজেপি-র তরফে জানানো হয়েছিল, মৃতদেহ নিয়ে কেওড়াতলায় যাওয়া হবে। কিন্তু আচমকাই তাঁরা মমতার কালীঘাটের বাড়ির রাস্তায় ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ সেই মিছিল আটকালে শুরু হয় অশান্তি। এর পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে মানসের দেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন সুকান্তেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy