—ফাইল চিত্র।
বারাসত থেকে গ্রেফতার জঙ্গি লিঙ্কম্যান লালু সেন ওরফে রাহুল কুমারের ফরিদাবাদ ও বিশাখাপত্তনমের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে কুড়িটিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পেলেন গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, লালুর হুন্ডি কারবারের কথা আগেই জেনেছিলেন তদন্তকারীরা। এ বার ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে লালুর টাকা লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে চান তাঁরা।
এসটিএফ সূত্রের খবর, ব্যবসার জন্য ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হলেও তা থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে তার খোঁজ করা প্রয়োজন। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে টাকা লেনদেন করা হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। লালুকে জেরা করেই ওই দুই অফিসের সম্পর্কে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। তার পর শুক্রবার রাতে দুই জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
এ রাজ্যে জেএমবি জঙ্গিদের লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করার অভিযোগে বারাসত থেকে লালুকে গ্রেফতার করে। বাজেয়াপ্ত করা হয় দু’টো ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড, দু’টো মোবাইল-সহ বেশ কিছু নথিও। গত রবিবার হরিদেবপুর থেকে জেএমবি-র ‘কলকাতা মডিউলের’ তিন সদস্য নাজিউর রহমান পাভেল, মিখাইল খান ওরফে শেখ
সাব্বির এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তার পরেই লালুর নাম উঠে আসে।
গোয়েন্দাদের দাবি, জেএমবির জঙ্গি আনসার আলি ওরফে হৃদয়ের নির্দেশে লালু এই কাজ করত। লালুর স্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লালু এক বার বাংলাদেশে জেলবন্দি হয়েছিল। সেই জেলেই
হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।
জেলে হৃদয় লালুকে কিছু সাহায্য করেছিল। তার বিনিময়ে লালুকে এ দেশে জেএমবি জঙ্গিদের লিঙ্কম্যানের কাজ করতে হত। ভুয়ো নথিপত্র তৈরিতেও লালু জঙ্গিদের সাহায্য করত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy