প্রদীপ ভট্টাচার্য।
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় কখনও কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়ে যায়নি। কিন্তু এবারের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, অতি বড় দূর্গও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। ‘গনি মিথ থেকে অধীর গড়’ সবতেই কংগ্রেসের ভাঁড়ার রিক্ত। এমন ফলাফলের কারণ জানতে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বকেই দায়িত্ব নিতে বলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। শোচনীয় পরাজয়ের কারণ জানতে এআইসিসি-র শীর্ষ নেতারা ফোন করেছিলেন এই বর্ষীয়ান নেতাকে। বিধানসভা ভোট নিয়ে নিজের মতামত শীর্ষ নেতাদের বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন, প্রয়োজনে বাংলায় এ বিষয়ে বিস্তারিত কারণ অনুসন্ধান করুক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
শীর্ষ নেতৃত্বের ফোন পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে প্রদীপ বলেছেন, ‘‘আমি আমার মতো করে সবকিছু বলার চেষ্টা করেছি। ভোটের ফলাফলের পর একবারই কথা হয়েছে। তাতে আমি বলেছি, হারের কারণ বিশ্লেষণ করা উচিত। কী ভাবে তা করা উচিত এআইসিসি-কেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এতবড় বিপর্যয়ের পর তো আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। এবং তা খোঁজখবর নিতে হবে বিস্তারিত ভাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন আমরা হারলাম? সেই প্রশ্নের অনুসন্ধান করতে হবে। স্বাধীনতার আগে বা পরে বাংলায় কখনও কংগ্রেস শূন্য হয়ে যায়নি। তাই আমাদের সবকিছু খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।’’
এ বারের নির্বাচনে এআইসিসি-র অনুমোদন নিয়েই বামফ্রন্ট ও আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর সঙ্গে সংযুক্ত মোর্চার গঠন করে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। বাম ও কংগ্রেস ভোটযুদ্ধে খাতা না খুলতে পারলেও, একমাত্র ভাঙড় আসনে জয় পেয়েছেন আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের মতে, ‘‘এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত।’’ কেন প্রত্যাশিত ফল হল না? কী কারণে রাজ্যের জনতার কাছে বিকল্প হয়ে উঠেত পারল না কংগ্রেস বা সংযুক্ত মোর্চা? এখন সেই কারণই খুঁজতে চাইছে এআইসিসি। এ প্রসঙ্গে এআইসিসি-র পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কী হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদকে তাঁর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy