পারিবারিক বিবাদের মীমাংসায় ডাকা সালিশি সভায় এক অন্তঃসত্ত্বাকে কান ধরে ওঠবোস এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, ওই মহিলার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হলদিয়ার চৈতন্যপুরে ওই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ, সালিশি সভায় নির্যাতনেই গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে। বুধবার মহিলার মা থানায় সালিশি সভায় উপস্থিত গ্রাম কমিটির সভাপতি রবিউল মল্লিক এবং সম্পাদক শেখ আসরাফ আলি-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক। হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ ঘটনাটি জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
গ্রাম কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক জালাল খানের মেয়ের সঙ্গে মাস তিনেক আগে বিয়ে হয় কুকড়াহাটির এক শিক্ষকের। কিন্তু জালালের ভাই জসিমুদ্দিন বিয়ে মানতে চাননি বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দুই পরিবারে অশান্তি ছিল। অভিযোগ, গত ৬ নভেম্বর জালাল এবং তাঁর ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে জসিমুদ্দিনকে মারধর করে। বিবাদে মেটাতে জালালের ছোট ছেলে মিন্টু খান গ্রাম কমিটিকে সালিশি ডাকতে বলেন। জালালের অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবার রাতে সালিশি সভায় আমার পরিবারকে সাড়ে বারো হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে আমাকে ও ছেলে-মেয়েকে ৫০ বার কান ধরে ওঠবোস করতে নির্দেশ দেয়। অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে দশবার ওঠবোস করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে মারধর করে মাতব্বরেরা।’’ তিনি জানান, মেয়েকে স্থানীয় আমলাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, তার গর্ভের সন্তান মারা গিয়েছে।
বুধবার হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবার মাতব্বরেরা আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল। রাজি হইনি। তাই আমাকে কান ধরে ওঠবোস করতে বলা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy