Advertisement
১৭ মে ২০২৪
CBI

Primary Teacher Recruitment: চেয়েছে সিবিআই! রাজ্যে ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ-নথি জমা দিতে বলল সংসদ

রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কর্মরতদের মধ্যে ৪২ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষককে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি জমা দিতে নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের নিয়োগের নথি জমা দিতে নির্দেশ পর্ষদের।

সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের নিয়োগের নথি জমা দিতে নির্দেশ পর্ষদের। প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২২ ১৩:৪৩
Share: Save:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তলব করেছে সিবিআই। তাই রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাইল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এই সমস্ত শিক্ষক নিয়োগপত্র পেয়েছেন। সেই সমস্ত নিয়োগপত্র-সহ যাবতীয় নথি এ বার হাতে পেতে চলেছে সিবিআই। সোমবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ৪২,৯৪৯ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তাই জরুরি ভিত্তিতে এক্সেল শিট-এ ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষককেই তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি পর্ষদকে পাঠাতে হবে।

আগামী বুধবারের মধ্যে এই নথি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি ইমেল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বুধবারের মধ্যে ওই ইমেল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন সেক্রেটারি আরসি বাগচী। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। বুধবার সব তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই তা তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের হাতে।

এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও কর্তা। তবে এ প্রসঙ্গে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে যদি সরকার স্বচ্ছতা বজায় রাখত, তা হলে আর শিক্ষকদের এ ভাবে হেনস্থা হতে হত না। আমরা চাই, নিরপেক্ষ তদন্ত করুক সিবিআই। তাতে যেমন বর্তমান শাসক দলের নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তেমনই বিরোধী দল বিজেপির শীর্ষ নেতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কারণ তাঁদের দলেও এমন অনেক নেতা আছেন, যাঁরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তৃণমূলে ছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE