পুরুলিয়ার হোটেলে। নিজস্ব চিত্র
বোর্ড গঠন পর্বে দলবদল চলছেই। রবিবার বিজেপি এবং কংগ্রেস থেকে কয়েক জন যোগ দিলেন তৃণমূলে। দল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ দিন বাঘমুণ্ডির সিন্দরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চার কংগ্রেস সদস্য পুরুলিয়া শহরের একটি হোটেলে দলীয় বৈঠকের শেষে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁরা হলেন আফরোজ আনসারি, অসিত মাহাতো, গায়ত্রী কুমার ও রীনা মাহাতো। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, তাঁরাই দলে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। এদিন তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন শান্তিরাম ও জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত মাহাতো। ওই পঞ্চায়েতে মোট ১২টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেস ৪টি, বিজেপি ৪টি, তৃণমূল ৩টি এবং নির্দল ১টি পেয়েছিল। বিজেপির ৩ জন এবং এক জন নির্দল আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ দিন কংগ্রেসের চার জন আসায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১১ জন। সুশান্ত বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে আমরাই বোর্ড গড়ব।’’
অন্য দিকে, এ দিন ওই বৈঠকের শেষে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রঘুনাথপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য সীমা বাউরি। উল্লেখ্য, ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১২টি। তৃণমূল পেয়েছিল ৪টি। এক জন তৃণমূলে যাওয়ায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে হল ১১। তৃণমূলের বেড়ে হল ৫।
এ দিন ওই ব্লকেরই মৌতড়-মঙ্গলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য সন্তোষী মুখোপাধ্যায়ও তৃণমূলে যোগ দেন। ওই পঞ্চায়েতটিও পেয়েছে বিজেপি। মোট ১২টি আসনের মধ্যে তাদের দখলে ছিল ৯টি। তৃণমূল জিতেছিল ২টিতে। সিপিএম ১টিতে। এক জন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপির আসন কমে হল ৮টি। তবে পঞ্চায়েতের সমীকরণের এতে কোনও বদল হচ্ছে না। পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউড়ি বলেন, ‘‘ওঁরা বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছেন, মানুষের উন্নয়ন করতে হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকতে হবে। তাই আমাদের দলে আসতে চেয়েছিলেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy