শিশুদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া, ভুয়ো বিল তৈরি করে দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে। হাতেনাতে তার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করে এ বার সেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করলেন ইন্দাসের বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায়। ইন্দাসেক রোল পঞ্চায়েতের ফাটিকা গ্রামের ১২ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা। ওই কেন্দ্রের কর্মী তৃষ্ণা রায়ের বিরুদ্ধে শনিবার ইন্দাস থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিডিও জানান, ব্লকের বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ পাচ্ছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরজমিন তদন্তে যান ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) দীপঙ্কর মণ্ডল। পরে বিডিও সেখানে যান। বিডিও-র কথায়, ‘‘ওই কেন্দ্রে খাবারের মান, হাজিরা নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। তাই ওই কেন্দ্রের কর্মী তৃষ্ণা রায়ের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” বিডিও-র অভিযোগ, পরিদর্শন করার সময় ওই কর্মীর বাড়ির লোকেরা সিডিপিও-র সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বিষয়টি পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত তৃষ্ণাদেবী তৃণমূল প্রভাবিত আইসিডিএস কর্মী ইউনিয়নের ইন্দাস ব্লকের একজন সক্রিয় নেত্রী। তিনি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই সব কাজ করেছি। অভিযোগ মিথ্যা।”
যদিও ইন্দাসের সিডিপিও দাবি করেছেন, ‘‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে দেখি একজন মাত্র শিশু এসেছে। পরে আরও কয়েকজন শিশু আসে। সব মিলিয়ে মাত্র ৩০ জন খাবার নিতে এসেছিল। অথচ খাতায় প্রাপকদের সংখ্যা অনেক বেশি লেখা থাকে। এ ছাড়া তিনদিন ডিম দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় না। বাসিন্দারা লিখিত ভাবে ওই কর্মীর নামে একাধিক অভিযোগ করেছেন। অথচ প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের বিল করা হয়। তা সন্দেহজনক।”
যদিও তৃষ্ণাদেবীর দাবি, ‘‘পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা অভিযোগ। নি়য়ম মেনে ডিম ও অন্য খাবার দেওয়া হয়। শিশু, প্রসূতি মা ও গর্ভবতী মিলিয়ে ১৩০ জনের নাম রয়েছে। তারমধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জনকে খাবার দেওয়া হয়। বৃষ্টির জন্য ওইদিন কম মানুষ খাবার নিতে এসেছিলেন।’’ দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তিনি মানতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy