আশুতোষ পাধী। নিজস্ব চিত্র
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরে সোমবার প্রকাশিত হল ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট ফর সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইসিএসই-দশম শ্রেণি) ও ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট (আইএসসি-দ্বাদশ শ্রেণি) পরীক্ষার ফলাফল। আইসিএসই পরীক্ষায় ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলের প্রথম হয়ে নজর কাড়ল বোলপুরের সীমান্তপল্লি এলাকার বাসিন্দা আশুতোষ পাধী। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় সে।
আশুতোষের সাফল্যে খুশি তার পরিবার-পরিজন ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বোলপুরের মকরমপুর এলাকায় অবস্থিত সেন্ট টেরেজ়া স্কুলের পড়ুয়া আশুতোষ। বাবা প্রতাপকুমার পাধী বিশ্বভারতীর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, মা সুনিতা পাধী গৃহবধূ। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে আশুতোষ ছোট থেকেই মেধাবী। তার আশা ছিল, দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ভাল ফল হবে। কিন্তু এতটাও ভাল হবে তা প্রত্যাশার বাইরে ছিল এই ছাত্রের। ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৭ নম্বর পেয়ে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে আশুতোষ।
বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ইংরেজিতে ৯৮, কম্পিউটার ১০০, বিজ্ঞানে ১০০, অঙ্কে ১০০, ইতিহাস- ভূগোলে ৯৯। তার এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী। তার এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও তার বাবা-মাকে দিয়েছে এই কৃতী ছাত্র। আশুতোষ বলে, “স্কুলের সময়টুকু বাদ দিয়ে প্রায় ৮ -১০ ঘণ্টা পড়তাম। কোনও পড়া ফেলে রাখতাম না। দিনের পড়া সেই দিন করে যেতাম। ভাল ফল হবে আশা করেছিলাম, তবে এতটাও আশা করিনি।”
আশুতোষের বাবা প্রতাপকুমার বলেন, “আশা ছিল ও ভাল ফলাফল করবে, এখন বড় আনন্দ হচ্ছে। ওর সাফল্যের পিছনে সব থেকে বড় কৃতিত্ব ওর মায়ের।” আশুতোষ ছাড়াও ওই স্কুলের ছাত্রী মকরমপুরের বাসিন্দা মুক্তিকা ঘোষ ৪৯৫ নম্বর পেয়েছে। স্কুলের শিক্ষক জাহের আলি মণ্ডল বলেন, “পড়ুয়াদের এই সাফল্যে আমরা অত্যন্ত খুশি ও গর্বিত।”
অন্য দিকে, আইসিএসসি পরীক্ষায় রামপুরহাট সেন্ট পলস স্কুলের ১০০ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হল। ৯৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাদৃতা দাস স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। ১৪ জন ৯০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে। ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ২৮ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy