Advertisement
১৭ মে ২০২৪

চোখ রাঙানি সহ্য করব না, পুরুলিয়ায় বললেন অনুব্রত

বীরভূমে তিনি মনোনয়ন পর্বে মন্তব্য করেছিলেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বস্তুত, ওই জেলায় অধিকাংশ জায়গাতেই বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারেননি। কিছু দিন আগে ফের অনুব্রত বলেন, ভোট দিতে গেলেও দেখবেন রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। তা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে।

মঞ্চে:  বলরামপুরে অনুব্রত ও কাশীপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

মঞ্চে:  বলরামপুরে অনুব্রত ও কাশীপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৮ ০০:৫০
Share: Save:

বামফ্রন্ট ও বিজেপির চোখ রাঙানি সহ্য করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ‘উন্নয়নের’ অপব্যাখ্যা হচ্ছে বলেও পুরুলিয়ায় নির্বাচনী সভা করতে এসে বুধবার মন্তব্য করেন অনুব্রত। এ দিন এই জেলাতেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সভা করেন। বাঁকুড়ায় ছিলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মুনমুন সেন।

অনুব্রত প্রথম সভা করেন বরবাজারের বান্দোয়ান গ্রামে, পরে বরাবাজারেরই সিন্দরি হাটতলায়। সন্ধ্যায় ছিল তাঁর সভা ছিল বলরামপুরের সরাই ময়দানে। তিনটি সভাতেই ভিড় ভালই হয়েছিল। অনুব্রত বলেন, ‘‘আমি তো কোথাও কাউকে মানা করিনি। কোনও নিষেধ করিনি। কেন ওরা মনোনয়ন দিতে পারল না, তা আমি কী জানি? আমি সাধারণ মানুষের কাছে আছি। আমি সাধারণ মানুষ। তবে আমি কারও চোখ রাঙানো সহ্য করি না। বামফ্রন্ট এবং বিজেপিকে আমি ভয় করি না। সাবধান করে দিচ্ছি। চোখ রাঙাবেন না। আমি এক দম সহ্য করি না।’’ সিন্দরির সভাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। অনুব্রত বলেন, ‘‘এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ড। সেখানে সবুজসাথী, খাদ্যসাথী আছে? পুরুলিয়ার পঞ্চায়েতে উন্নয়ন হয়নি তো কোথায় হয়েছে?’’

বীরভূমে তিনি মনোনয়ন পর্বে মন্তব্য করেছিলেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বস্তুত, ওই জেলায় অধিকাংশ জায়গাতেই বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে পারেননি। কিছু দিন আগে ফের অনুব্রত বলেন, ভোট দিতে গেলেও দেখবেন রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। তা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে।

সেই প্রসঙ্গে টেনে এ দিন অনুব্রত বলেন, ‘‘ইদানীং কিছু কবি, লেখক তৈরি হয়েছেন। যাঁরা আমার উন্নয়নের অন্য ব্যাখ্যা করছেন। উন্নয়ন তো সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ি থেকে দেখা যায়। পুরুলিয়ায় কি এরকম রাস্তাঘাট আগে কখনও ছিল? এটা যদি উন্নয়ন না হয়, তবে উন্নয়ন কোনটা?’’ এরপরেই তিনি দাবি করেন, ‘‘বাম আমলে প্রতি দিনই খুন হতো। এখন সেই খুন হচ্ছে? এটা উন্নয়ন নয়?’’ বিকেলে বলরামপুর থেকে বরাবাজারে বিরাট মোটরবাইক মিছিল অনুব্রতকে আনতে গিয়েছিল। তাঁদের দেখিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘এরাই ভোট পর্যন্ত প্রকৃত উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেবে।’’

দুপরে রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মঙ্গলদা গ্রামে ও কাশীপুরের সেবাব্রতী সঙ্ঘের মাঠে সভা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির নেতাদের আমি বলি পেটানোর কথা বললে, মারার কথা বললে, বাচ্চা ছেলেদের হাতে তরোয়াল ধরিয়ে দিলে এ রাজ্যে কোনও দিনই পদ্মফুল ফুটবে না। বরং ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে যাবে। এটা রাজ্যের সংস্কৃতি নয়।” দুই সভাতেই পার্থবাবু দাবি করেন, জনতার আদালতকে এড়িয়ে তিন বন্ধু সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে বারবার
আদালতে যাচ্ছে।

বাঁকুড়ার নড়ড়া গ্রামে এ দিন বিকেলে জনসভা করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ভোটে বিজেপি হার নিশ্চিত জেনেই ভয় পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।’’ বিকেলে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বাঁশিতে সভা করেন অভিনেত্রী সাংসদ মুনমুন সেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE