পুরুলিয়ার পুঞ্চার সভায় দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের প্রার্থীর বাড়িতেও ভোটের প্রচারে যাবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বুধবার পুরুলিয়ার পুঞ্চার বাগদা চন্দ্রকান্ত বিদ্যাপীঠের মাঠে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা ছিল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কোনও বাড়িতে তৃণমূলের প্রার্থী থাকতেই পারেন। কিন্তু বাড়ির সব সদস্য তৃণমূলের সমর্থক হবেন, এমন কোনও কথা নেই। তাই দলমত নির্বিশেষে সব বাড়িতেই বিজেপির প্রার্থীরা ভোট চাইতে যাবেন।’’
এপ্রিলের দাবদাহে বেলা ২টোয় সভা শুরু হয়। শুরুতেই রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘যে যেমন ভাষা বোঝে তাকে সেই ভাষাতেই বোঝাতে হবে। আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকালে তার চোখ তুলে নেওয়া হবে, এ কথা যেন তৃণমূল মনে রাখে।’’ কর্মী সমর্থকদের তিনি বলেন, ভোটের আগের দিন আত্মীয়দেরও রেয়াত না করতে। তাঁর কথায়, ‘‘শাসকদলের ছলের অভাব নেই। হয়তো কোনও আত্মীয়কেই কুটুম-বাড়ি পাঠিয়ে ভোটের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তাকে ওই সময়ে হাত জোড় করে তাঁকে নিজের বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন। যেতে না চাইলে শক্ত বাঁশের লাঠি তৈরি রাখুন। নির্বাচনের পরে কটুম্বিতা দেখাবেন।’’ এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সহসভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ‘‘মানুষ পাশে নেই বুঝতে পেরেই ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন ওঁরা। সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।’’
এ দিনের দিলীপ অভিযোগ করেন, বিরোধীদের কার্যকলাপে নজরদারির জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এ দিন সভায় পুলিশ ও প্রাশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘বরাবাজারের নিশ্চিন্তপুরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে বেছে বেছে আমাদের দলের ১১ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হল। তৃণমূলের এক জনকেও ধরার সাহস হয়নি। বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পরেও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা।’’ নিশ্চিন্তপুরের ঘটনার ব্যাপারে অবশ্য প্রথম থেকেই পুলিশ দাবি করে আসছে, যা হয়েছে সেটা তদন্তে উঠে আসা নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই। তৃণমূলের রথীন্দ্রনাথ মাহাতো এ দিন বলেন, ‘‘আইন আইনের পথেই চলছে। পুলিশ তদন্তে যা জানতে পেরেছে নিশ্চয় সেই মতো পদক্ষেপ করেছে।’’
এ দিন সভার শেষে পুঞ্চার লাখরা অঞ্চল মানবাজারের কামতা-জাঙ্গিদিরি অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দলবদলের ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনও খবর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy