চালকল থেকে নালা হয়ে পুকুরে জমেছে ছাই-মেশা জল। পুকুর উপচে এই জল বইছে নদীতে, অভিযোগ এলাকাবাসীর একাংশের। নিজস্ব চিত্র
চালকলের ছাই-মেশা জল পুকুর উপচে গিয়ে মিশছে নদীতে। দূষণের অভিযোগ বহু বার স্থানীয় প্রশাসনে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। গত বৃহস্পতিবার এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন মানুষজন। তার পরে, নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় একটি দল পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ হবে। জেলাশাসক রজত নন্দাও বলেন, “এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
স্থানীয়েরা জানান, বোরো ব্লক মোড়ের কাছে রয়েছে চালকলটি। বোরো গ্রামের পাশে দিয়ে বয়ে গিয়েছে টটকো নদী। নদীর জল নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করেন এলাকাবাসী। ওই গ্রাম ছাড়াও আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশো মানুষও নদীতে স্নান করেন। তবে অভিযোগ, ওই চালকলের ছাই-জল মিশছে নদীতে। তার জেরে কালো হয়ে যাচ্ছে নদীর জল। স্নান করলে চুলকানি-সহ নানা রোগ হচ্ছে। নদীতে চালকলের জল যাতে না মেশে তার জন্য পদক্ষেপের দাবি জানানো হলেও সুরাহা হয়নি।
শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, চালকলের এক পাশে ডাঁই করা ছাই। নালা হয়ে ছোট একটি পুকুরে জমছে সেই জল। পুকুর উপচে সেই জল বইছে নদীর দিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “চালকলের ছাই-জল মেশায় নদীর জল কালো হয়ে যাচ্ছে। স্নান করলেই গা চুলকোয়। তা-ও কষ্ট করে নদীতে স্নান করতে হয়। গবাদি পশুর জন্যও নদীর জলই ভরসা।” গ্রামের এক বাসিন্দার অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে চালকলের বর্জ্য জল নদীতে ফেলা হয়। নালা দিয়ে বয়ে সেই জল মেশে নদীতে। এ ছাড়া, চালকলের পাশে জমে থাকা ছাইও বৃষ্টিতে বয়ে গিয়ে নদীতে মেশে।
অভিযোগ উড়িয়ে ওই চালকলের মালিক মধুসূদন আগরওয়াল বলেন, “গ্রামের বাসিন্দারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। ছাই-জল আটকাতে মিলের ভেতরে বেশ কয়েকটি ছোট পুকুর রয়েছে। সেখানে জমা হয় জল।” যদিও বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুকুর উপচে জল নদীতেই মিশছে।
বিডিও (মানবাজার ২) গোলাম গওসল আজম বলেন, “এলাকায় প্রশাসনের একটি দল পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিক রিপোর্টও তৈরি করা হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ীপদক্ষেপ হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy