Advertisement
১৯ মে ২০২৪

টুকরো খবর

কেব্ল কাটা পড়ায় ফের মুখ থুবড়ে পড়ল বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা। রবিবার বিকেল থেকে রঘুনাথপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় অচল হয়ে পড়ে ওই পরিষেবা। রবিবার গড়পঞ্চকোট, বড়ন্তি, ইন্দ্রবিল জলাধার, আদ্রা সাহেববাঁধ, জয়চণ্ডী পাহাড়-সহ রঘুনাথপুরের প্রায় সব পিকনিক স্পটেই উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। মোবাইল অচল হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েন। রাত পর্যন্তও পরিষেবা সচল না হওয়ায় অনেককেই বাড়িতে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি।

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৪২
Share: Save:

কেব্ল কেটে অচল পরিষেবা

নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

কেব্ল কাটা পড়ায় ফের মুখ থুবড়ে পড়ল বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবা। রবিবার বিকেল থেকে রঘুনাথপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় অচল হয়ে পড়ে ওই পরিষেবা। রবিবার গড়পঞ্চকোট, বড়ন্তি, ইন্দ্রবিল জলাধার, আদ্রা সাহেববাঁধ, জয়চণ্ডী পাহাড়-সহ রঘুনাথপুরের প্রায় সব পিকনিক স্পটেই উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। মোবাইল অচল হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়েন। রাত পর্যন্তও পরিষেবা সচল না হওয়ায় অনেককেই বাড়িতে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি। রবিবারই উদ্বোধন ছিল জয়চণ্ডী পাহাড় পযর্টন উৎসবের। উৎসব কমিটির কর্মকর্তা সুকুমার মণ্ডল বলেন, “কমিটির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য যে মোবাইল নম্বরটি বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া রয়েছে, তা বিএসএনএলেরই। অথচ উদ্বোধনের দিনই বিকেল থেকে মোবাইল পরিষেবা অচল হয়ে যাওয়ায় আমাদের প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হযেছে। আমাদের সঙ্গে অনেকেই বহু লোকই যোগাযোগ করতে পারেননি।” বিএসএনএল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তা চওড়া করার জন্য কালভার্ট ভাঙতে গিয়েই পুরুলিয়া-বরাকর রাস্তায় এবং পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কের দুই জায়গায় অপটিক্যাল কেব্ল কাটা পড়াতেই এই বিপত্তি। বিএসএনএলের জেলা টেলিকম ম্যানেজার গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুরুলিয়া-বরাকর রাস্তায় ছড়রার কাছে ও জাতীয় সড়কে হুড়ার কাছে কেব্ল কাটা পড়েছিল। সে কারণেই রঘুনাথপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় মোবাইল পরিষেবা অচল হয়ে পড়ে। সোমবার দুপুরে পরিষেবা সচল হয়।” গত কয়েক দিনের মধ্যে এ ভাবে কখনও টানা ১২ ঘণ্টা, কখনও বা দিনভর কেব্ল কাটার কারণে মোবাইল পরিষেবা অচল হয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, “কোথাও আচমকা কাজ করতে গিয়ে কেব্ল কাটা পড়তেই পারে। কিন্তু যেখানে কাজ চলছে, সেখানে পরিষেবার প্রশ্নে কেন আগাম সতর্কতা নেওয়া হবে না।” বিএসএনএল বা রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতর, কোন পক্ষ থেকেই এ প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি।

অনুপস্থিত তৃণমূল সদস্যরা, বাতিল সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর

দলেরই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে এলেন নীলডি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যরা। সোমবার ওই পঞ্চায়েতে অনাস্থার তলবি সভাতে অনুপস্থিত থাকলেন পঞ্চায়েতের পাঁচ তৃণমূল সদস্য। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের বিডিও উৎপল ঘোষ এ দিন বলেন, “তলবি সভাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় সদস্য উপস্থিত হননি। তাই কোরাম গঠিত না হওয়ায় সভা বাতিল হয়েছে। ফলে উপপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা খারিজ হয়েছে।” তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতে অনাস্থা আসার পরেই তা যাতে গৃহীত না হয় সেই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। ওই ব্লকের অন্যতম তৃণমূল নেতা বরুণ মেহেতা এ দিন বলেন, “সিপিএমের সদ্যসদের ইন্ধনে পড়ে আমাদের কিছু পঞ্চায়েত সদস্য দলেরই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। কিন্তু দলের নির্দেশ অনুযায়ী এ দিনের সভাতে পঞ্চায়েতে আমাদের সদস্যদের অনুপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সেই মতো কেউই এ দিন সভাতে যাননি।” রঘুনাথপুর ২ ব্লকের নীলডি পঞ্চায়েতে প্রথমে সিপিএম সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতলেও পরে সিপিএমের দুই সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়াতে ওই পঞ্চায়েতটি দখল করে তৃণমূল। সিপিএম থেকে আসা পানসুখি হাঁসদাকে প্রধান করা হয়। উপপ্রধান হয়েছিলেন সিপিএম থেকেই আসা বাবলু মণ্ডল। সম্প্রতি বাবলুবাবুর বিরুদ্ধেই অনাস্থা এনেছিলেন তৃণমূলের সদস্যরা। সর্মথন জানিয়েছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেস সদস্যরা।

উৎসবে বাস, দুর্ভোগ জেলায়

নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

জেলার বিভিন্ন রুট থেকে প্রায় অর্ধেক যাত্রীবাহী বাস জঙ্গলমহল উৎসবে চলে গিয়েছে। এর ফলে সোমবার কাজে বেরিয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হল বেশ কিছু এলাকার মানুষজনকে। সোমবার জঙ্গলমহল উৎসবের জন্য জেলার সব রুট থেকেই যাত্রীবাহী বাস তুলে নেওয়া হয় খেলোয়াড় ও উৎসবে যোগদানকারীদের ঝাড়গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এ দিন জেলার বেশ কিছু জায়গায় দেখা যায়, সকাল থেকে বাসের জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জাতীয় সড়কের উপর লালপুর মোড়ে দাঁড়িয়ে সুনীলকুমার মুদি বলেন, “আজ ছুটির দিনে বইমেলা যাব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছি। অথচ বাসের দেখা নেই।” সুরজমণি হাঁসদার গন্তব্য ছিল কাঁটাডি। তিনি বললেন, “আত্মীয় বাড়ি যাব বলে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছি। কখন বাস আসবে কে জানে!” আর এক যাত্রী প্রমোদ মাহাতোর ক্ষোভ, “বাঁকুড়ার কমলপুরে যাব বলে বেরিয়েছি। সরকারি বস চলছে। কিন্তু আগের বাসটা এত ভিড় যে ওঠার কথা ভাবাই গেল না।” জেলা বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্তের সাফাই, “আমাদের জেলায় ৪৭টি রুটে ৪২০টি বাস চলে। কমবেশি ২০০ বাস নেওয়া হয়েছে। কোনও রুট থেকেই সমস্ত বাস তোলা হয়নি। বেশি বাস চলে যে সমস্ত রুটে, সেই রুটগুলি থেকে তুলনায় কিছু বেশি বাস তোলা হয়েছে। তবে সমস্ত রুটেই বাস চলেছে। দূরপাল্লার বাসগুলিও ছিল। প্রশাসন নিলে তো দিতেই হবে।”

স্কুল নির্বাচন নিয়ে দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া

কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলল এসএফআই। সোমবার এই দাবিতে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতরে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয় সংগঠনের তরফে। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক ধর্মেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “২ ও ৩ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার দিন। কিন্তু দু’দিনই মাত্র তিন ঘণ্টা করে (১১টা থেকে দুপুর ২টো) সময় দেওয়া হয়েছে। এতো কম সময়ে মনোনয়নপর্বের কাজ শেষ করা প্রার্থীদের পক্ষে সম্ভব হবে না।” তাঁর অভিযোগ, যাতে সবাই মনোনয়নপত্র তুলতে না পারেন, তাই এতো কম সময় দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া এবং এর জন্য সময় নির্ধারণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই জেলা প্রশাসনের এ বিষয়ে কিছু করার নেই। সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোর জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তার দাবিও তুলেছে এসএফআই। অশান্তি রুখতে কলেজে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জঙ্গি হানার প্রতিবাদ আদিবাসীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর

অসমের আদিবাসীদের উপরে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে এ বার সরব হল বোলপুর-শান্তিনিকেতন এবং সংলগ্ন এলাকার একাধিক আদিবাসী সংগঠন ও ছাত্রছাত্রীরা। শুধু আদিবাসীরাই নন, অন্যান্য শ্রেণির মানুষজনও সোমবার বিকেলে ওই ঘটনার প্রতিবাদে এক ধিক্কার মিছিলে শামিল হন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে অসমে জঙ্গি হানায় নিহত হন প্রচুর আদিবাসী। ওই গণহত্যার প্রতিবাদে দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী এবং অন্যান্য শ্রেণির মানুষ সরব হন। ইতিমধ্যেই একটি সংগঠন আগামী ৩১ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে। পৌষমেলাতেও নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করা-সহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি তোলে কোনও কোনও স্টল। এ দিন টুরিস্ট লজ মোড় থেকে ধিক্কার মিছিলটি বের হয়। শান্তিনিকেতন রোড ধরে ওই ধিক্কার মিছিল বোলপুর স্টেশন রোড পর্যন্ত যায়। উদ্যোক্তা বাকজুলু আদিবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, আদিবাসী লাহান্তি ফোরাম, তপসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য সম্প্রদায়। বাকজুলু আদিবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষে শিবু সরেন এবং তপসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের পক্ষে রুহি দাস বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ নিন্দায় সরব হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ দিন ধিক্কার মিছিলে শামিলও হয়েছেন।”

মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র

সদস্য সংগ্রহ অভিযান শিবির থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি-র তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়রের ঘটনা। রবিবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়র থানার সাহাপুর গ্রামের কাছে জঙ্গলের রাস্তায় কুশদ্বীপ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল নেতা মিলন দে-র নেতৃত্বে তাঁদের দলের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে বিজেপির তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিজেপির পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি মোহন কাপড়ির অভিযোগ, “রবিবার সাহাপুর গ্রামে আমাদের দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের জন্য একটি শিবির করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় ওই শিবির থেকে নতুনগ্রামের বাসিন্দা দলের কয়েকজন কর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় রাস্তায় তাঁদের আটকে স্থানীয় কুশদ্বীপ পঞ্চায়েতের প্রধান মিলন দে-র নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করেন।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা মিলনবাবু বলেন, “আমরা কাউকে মারধর করিনি। রাজনৈতিক কারণেই বিজেপি নেতারা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”

দুর্ঘটনায় মৃত্যু

মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম জয়দেব সিংহ মোদক (২৫)। পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার কাছেই তাঁর বাড়ি। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বরাবাজার-বলরামপুর রাস্তায় মেদিনীটাঁড় গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রাজু কুণ্ডু নামে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে জয়দেববাবু বলরামপুর থেকে বরাবাজার ফিরছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।

নতুন থানার উদ্বোধন আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি

মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় বিশেষ সতর্কতা হিসেবে আগেই বীরভূম জেলায় দু’টি নতুন থানা তৈরির ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। সেই মোতাবেক খয়রাশোল এবং রাজনগর থানা এলাকাকে ভেঙে লোকপুর ও চন্দ্রপুরে আরও দু’টি থানা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। আজ, মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দু’টি থানারই উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। দু’টি নতুন থানা উদ্বোধনের পাশাপাশি ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী লাভপুর এবং কাঁকরতলা থানার নতুন ভবনের উদ্বোধনও করবেন। উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার চারটি জায়গাতেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন।

মাখড়ায় টহল

নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়ুই

এলাকার তৃণমূলের বিরুদ্ধে রবিবারই অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতা, কর্মীদের বাড়িতে আগুন ধরানোর ও বোমাবাজির। সোমবার সেই মাখড়া গ্রামে দেখা গেল, রুট মার্চ থেকে শুরু করে নজরদারি বহাল। আশপাশের এলাকাতেও চলছে পুলিশি টহলদারি। যদিও বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে ঘটনায় এখন পর্যন্ত ধরতে পারেনি পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, আগের মতো মাখাড়া গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প এবং নজরদারি রয়েছে গ্রামে।

বর্ষপূর্তি উৎসব

—নিজস্ব চিত্র।

শুরু হল কীর্ণাহার তরুণ সমিতির ৭৮ তম বর্ষপূর্তি উৎসব। রবিবার থেকে চার দিনের এই উৎসবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ক্লাব প্রাঙ্গণ এবং বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি সামগ্রীর স্টলও হয়েছে। ক্লাবের সভাপতি তপন দত্ত বলেন, “নিছক ক্লাব-ধর্ম পালনই নয়, মহিলাদের স্বনির্ভতার লক্ষ্যে আমরা নানা প্রশিক্ষণেরও আয়োজন করি।” অনুষ্ঠানে ছিলেন মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধায়ক গদাধর হাজরা, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী প্রমুখ।

মারধরের অভিযোগ

সদস্য সংগ্রহ অভিযান শিবির থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি-র তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়রের ঘটনা। রবিবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়র থানার সাহাপুর গ্রামের কাছে জঙ্গলের রাস্তায় কুশদ্বীপ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল নেতা মিলন দে-র নেতৃত্বে তাঁদের দলের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে বিজেপির তরফে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিজেপির পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি মোহন কাপড়ির অভিযোগ, “ওই দিন সাহাপুর গ্রামে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের জন্য একটি শিবির করা হয়েছিল। সন্ধ্যায় শিবির থেকে নতুনগ্রামের বাসিন্দা দলের কয়েকজন কর্মী বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় রাস্তায় তাঁদের আটকে কুশদ্বীপ পঞ্চায়েতের প্রধান মিলন দে-র নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে।” অভিযোগ অস্বীকার করে মিলনবাবু বলেন, “কাউকে মারধর করা হয়নি। রাজনৈতিক কারণেই বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করেছে।”

তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার

পাত্রসায়রের পান্ডুয়া গ্রামে এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সারথি বাউরি। পান্ডুয়া গ্রামেই তাঁর বাড়ি। সোমবার সকালে নাড়িচ্যা এলাকা থেকে তাঁকে ধরা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। গত ২১ সেপ্টেম্বর পান্ডুয়া গ্রামের একটি পুকুরে মাছ চুরিকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণ সিংকে পিটিয়ে মারা হয়। ওই খুনের ঘটনায় গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কর্মী সুভাষ সিং-সহ ৮ জনকে পুলিশ ধরেছিল। তবে অন্যতম অভিযুক্ত সারথী বাউরিকে ধরতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ছিলেন সারথী। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে নাড়িচ্যা এলাকায় সারথী ঘোরাফেরা করছেন বলে খবর পেয়ে পাত্রসায়র থানার ওসি রামনারায়ণ পাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধরেন। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু

মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম জয়দেব সিংহ মোদক (২৫)। বরাবাজার থানার কাছেই তাঁর বাড়ি। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বরাবাজার-বলরামপুর রাস্তায় মেদিনীটাঁড় গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রাজু কুণ্ডু নামে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে জয়দেববাবু বলরামপুর থেকে বরাবাজার ফিরছিলেন। পথচারীদের কাছ থেকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত দু’জনকে উদ্ধার করে বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় জয়দেবের। গুরুতর জখম রাজুকে ঝাড়খণ্ডের বোকারো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

পথসভা

দুর্নীতি বিরোধী সপ্তাহ উপলক্ষে শালতোড়ার পাবড়ামোড়ে সোমবার পথসভা করল বিজেপি। ছিলেন জেলা সভাপতি জয়ন্ত মণ্ডল, জেলা মুখপাত্র অজয় ঘটক প্রমুখ।

গ্রেফতার দুষ্কৃতী

গ্রামের রাস্তায় মোটর বাইক থামিয়ে চলছিল ছিনতাই খবর পেয়ে গ্রামবাসীদের সাহায্যে চার ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করল পুলিশ রবিবার রাতে সোনামুখী থানার ধানসিমলা-কাশীপুর রাস্তার ঘটনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

brief story puru tukro
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE