পেনশনের দাবিতে অচল সিউড়ি পুরসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি
পেনশনের দাবিতে অবস্থান সিউড়িতে। —নিজস্ব চিত্র
পেনশনের দাবিতে ফের পুরসভা অচল করলেন অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মীরা। সোমবার সিউড়ি পুরসভার ঘটনা। কেন তাঁরা তিন মাস যাবৎ পেনশন পাচ্ছেন না, এই দাবিতে দিন সাতেক আগেই আন্দোলন করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মীরা। দাবি না মেটায় সোমবার সকাল সাতটা থেকে দিনভর একই দাবিতে পুরসভার দরজা আগলে, পোস্টার সেঁটে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিক্ষোভের জেরে পুরকর্মী, পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান- সহ কোনও কাউন্সিলরই পুরসভায় ঢুকতে পারেননি। এ দিন পানীয় জলের পরিষেবা বাদ দিলে অন্যান্য পুর-পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। শুধু অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাই নন, আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন বেশ কয়েকমাস থেকে বেতন না পাওয়া অতিরিক্ত ঠিকা শ্রমিকেরাও। পুরসভা সূত্রের খবর, জেনারেল ফাণ্ডে টাকা না থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। আন্দোলনের জেরে জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ট্রেজারিতে থাকা পুরসভার টাকা থেকে পেনশন দেওয়ার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি। তাই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, কবে তাঁদের পেনশন দেওয়া যাবে। ঘটনা হল, পেনশন না পেয়ে গত বছর শেষ দিনেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মীরা। তাঁরা পুরকর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, দাবি না মিটলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। দাবি মেটেনি এর মধ্যে। পুর পেনশনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি মৃণাল বসু বলেন, “পুরসভা ও প্রশাসনের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনায় পেনশন পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। তাই তখনকার মত আন্দোলন তুলেও নিয়েছিলাম। সাতদিন অপেক্ষার পরও ফল মেলেনি।”পুরপ্রধান উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়ে বলেন, “আসলে পুরসভার ১৩২ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী রয়েছেন, যাঁদের পেনশন মেটাতে প্রতিমাসে পুরসভার সধারণ খাত থেকে আট লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেই টাকা এই মুহূর্তে পুরসভার খাতে নেই।” তিনি জানান, রাজ্য সরকার পেনশনের ৪০ শতাংশ দিয়ে থাকে সেটা মার্চের আগে পাওয়া যাবে না। তাই পেনশন দেওয়া যায়নি। তবে সব পক্ষকে অবস্থার কথা জানানো হয়েছে, আশা করি শীঘ্রই সমস্যা মিটবে।
দাবি পূরণের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদাতা • রামপুরহাট
তারাপীঠে পুজো দিয়ে মন্দির কমিটির চারটি দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বর্ধমান থেকে বীরভূমে পা রেখেই সিউড়ি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাট যান। যে দাবিগুলি মন্দির কমিটি রেখেছে, তার মধ্যে রয়েছে রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে আলোর ব্যবস্থা এবং সৌন্দর্য্যায়ন। দ্বারকা নদের দু’ পাড় বাঁধানোর জন্য জেলাশাসক, দুই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তারাপীঠের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের রামপুরহাট ২ ব্লকের সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। সুকুমারবাবু বলেন, “তারাপীঠ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি লিখিত ভাবে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবিগুলি কি কি তা আমার কাছ থেকে জেনে নেন।” মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তারাপীঠ সংলগ্ন তারাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বেশি উন্নত পরিষেবা পাওয়ার জন্য আরও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দাবি রাখা হয়। সুকুমারবাবুর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রামপুরহাটে মেডিক্যাল কলেজ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। তবুও তারাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যদি আর একটি শাখা খোলা যায়, তার জন্য চেষ্টা করা হবে।”
কিশোরী অপহরণ, ধৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পাত্রসায়র থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হল ওই কিশোরীকে। পাত্রসায়র থানার নারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম মিঠুন দিগর। বছর বাইশের ওই যুবকের বাড়ি পাত্রসায়রের মুড়াপাড়া গ্রামে। রবিবার রাতে বর্ধমানের রায়না থানার সমসপুর গ্রাম থেকে মিঠুনকে ধরা হয়। তার সঙ্গেই উদ্ধার করা হয় ষোলো বছরের ওই কিশোরীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বছর ওই কিশোরী। এ বার তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা। পরের দিন ওই ছাত্রীর বাবা পাত্রসায়র থানায় মিঠুন এবং তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের দাবি, এতদিন ধরে ওই কিশোরী এবং যুবকের কোনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রায়নার সমসপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সোমবার দু’জনকে বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃত যুবককে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় ওই কিশোরী। অভিযুক্তের পরিবারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, মেয়েটির সঙ্গে মিঠুনের ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি স্বেচ্ছায় মিঠুনের সঙ্গে পালিয়েছিল। অপহরণের অভিযোগ মিথ্যা।
জমি নিয়ে জটিলতা, স্কুলের নির্মাণে বাধা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বরবাজার
বাসিন্দাদের একাংশের বাধায় স্কুলের সীমানা পাঁচিল নির্মাণের কাজ আটকে গেল। সোমবার বরাবাজার হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ঘটনাটি জানানোয় গোলমাল বেশি হয়নি। বরাবাজার হাইস্কুলের সীমানা পাঁচিল তৈরির কাজ চলছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তারকনাথ দে জানান, স্কুলের একটি দিক খোলা থাকায় স্কুল চত্বরে গরু-ছাগল ঢুকে পড়ছিল। স্কুলের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ কারণে ওই অংশ ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, “কিন্তু স্কুল লাগোয়া পড়শিদের একাংশের বাধায় নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে গিয়েছে।” কী কারণে বাধা? স্থানীয় বাসিন্দা শেখ এনামুল হকের দাবি, “আমাদের পূর্বপুরুষের দান করা জমিতে স্কুল গড়ে উঠেছে। দান করা জমি ছাড়াও বাড়তি অংশ স্কুল ঘিরে নিতে চাইছে। আমরা এ কারণেই আপত্তি জানিয়েছি।” যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, “স্কুলের নথি দেখে আমরা জানি ওই প্লটটি স্কুলেরই অংশ। স্কুলের নামে মিউটেশন হয়ে আছে। স্কুল লাগোয়া পড়শিদের কয়েকজন পাঁচিল নির্মাণে কেন বাধা দিচ্ছেন বুঝতে পারছি না।” বরাবাজারের বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “দু’পক্ষকে নথিপত্র নিয়ে আসতে বলেছি। ওই জমির নথিপত্র দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ধর্ষণের নালিশ, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেন্দা
গণধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্থানীয় এক যুবককে রবিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম নিতাই মাহাতো। তার বাড়ি কেন্দা থানার কুড়ুকতোপা গ্রামে । শনিবার বিকেলে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে দুই যুবক এক প্রৌঢাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে প্রৌঢা কেন্দা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তিনি ইটভাটায় শ্রমিক জোগান দেওয়ার কাজ করতেন। পুলিশ অপর অভিযুক্তের সন্ধান চালাচ্ছে ।
বকেয়া বেতন নিয়ে জট
বকেয়া মাইনের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামতে চলেছেন পুরুলিয়া পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিকেরা। সোমবার বিকেলে এই দাবিতে তাঁরা পুরপ্রধানকে স্মারকলিপি দেন। তার আগে এ দিন পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে অস্থায়ী শ্রমিকদের মাইনে দেওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে পুরপ্রধান ও বিরোধী দলনেতার মধ্যে চাপানউতোর হয়। বিরোধী দলনেতা বিভাস দাস বলেন, “অস্থায়ী শ্রমিকদের অনেক দিনের মাইনে বাকি পড়ে রয়েছে। আমরা পুরপ্রধানের কাছে দাবি করেছিলাম, মাইনে মিটিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু তিনি এই শ্রমিকদের দু’মাসের মাইনে দিতে চাইছেন। আমরা তাতে সম্মত হইনি।” অস্থায়ী শ্রমিকদের একাংশ পুরসভা চত্বরেই ছিলেন। তাঁদের কানে বিষয়টি যেতেই মাইনের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। তবে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। পুরসভার সাফাই বিভাগের অস্থায়ী শ্রমিক সরোজিৎ স্যামুয়েলের ক্ষোভ, “দীর্ঘদিন আমাদের মাইনে বকেয়া। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমরা একই ভাবে আন্দোলন করায় পুরপ্রধান আমাদের কথা দিয়েছিলেন, প্রতি মাসের মাইনের সঙ্গে কিছু কিছু করে আমাদের বকেয়া মাইনে মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এ বছরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। পুরপ্রধানকে এ দিন স্মারকলিপি দিয়েছি। উনি আমাদের দু’মাসের মাইনে নিতে বলছেন। তা আমরা নেব কেন?” বিক্ষোভকারীদের দাবি, সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচশো শ্রমিকের ২০ মাসের মাইনে বকেয়া। অবস্থা একই থাকলে মঙ্গলবার থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন অস্থায়ী শ্রমিকেরা। পুরুলিয়ার পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “টাকা নাই। উল্টে লোক বেশি। অনেককে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু অনেকে নেননি।”
সমবায়ে ফব
কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়ে কৃষি সমবায় সমিতির সব ক’টি আসনে জয়ী হল ফরওয়ার্ড ব্লক। রবিবার ঝালদা ১ ব্লকের ঝালদা-দঁড়দা সমবায় কৃয়ি উন্নয়ন সমিতির নিবার্চন হয়। মোট ৬টি আসনের সবগুলিতেই ফব-র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বিজেপি এখানে প্রার্থী দেয়নি। প্রতিটি আসনে ফবর সঙ্গে লড়াই হয়েছে কংগ্রেসের। তৃণমূল ছ’টির মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী দিয়েছিল। প্রতিটি আসনেই তৃণমূলের প্রার্থীরা তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। আগেও এই সমবায় সমিতিটি ফব-র দখলেই ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy