Advertisement
১৯ মে ২০২৪

টুকরো খবর

স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া, বধূ নির্যাতনের দায়ে কারাদণ্ড হল স্বামীর। শুক্রবার রঘুনাথপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক নন্দন দেববর্মন এই সাজা শুনিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম দিনু গরাই। বাড়ি পুরুলিয়ার পাড়া থানার রাহেরডি গ্রামে।

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১৬
Share: Save:

বধূর মৃত্যুতে স্বামীর সাজা

নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর

স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া, বধূ নির্যাতনের দায়ে কারাদণ্ড হল স্বামীর। শুক্রবার রঘুনাথপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক নন্দন দেববর্মন এই সাজা শুনিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম দিনু গরাই। বাড়ি পুরুলিয়ার পাড়া থানার রাহেরডি গ্রামে। সরকারি আইনজীবী অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ দিন বিচারক দিনু গরাইকে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং বধূ নির্যাতনের দায়ে দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দু’হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন। দু’টি ক্ষেত্রেই জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’টি সাজাই এক সঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন অমলেন্দুবাবু। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে দিনু’র সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের চিরকুণ্ডার বাসিন্দা আলার। বিয়ের পাঁচ মাস পরে শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয় আলার। সেই সময় মৃতার বাবা সুভাষ গরাই পাড়া থানায় অভিযোগে জানিয়েছিলেন, ৬ সেপ্টেম্বর সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোনে তাঁকে জানানো হয়েছিল, মেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে। খবর পেয়ে রাহেরডি গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন, বাড়ির মধ্যে খাটে মেয়ের দেহ শোয়ানো রয়েছে এবং গলায় কালসিটে দাগ। এই দেখে তিনি ওই দিনই জামাই-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুভাষবাবু। সরকারি কৌঁসুলী জানান, ওই বধূর গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ হওয়াতে মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল। ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর থেকে মামলার শুনানি শুরু হয়। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বিচারক বাকি ছয় অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছেন।

সমিতির দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া

আলুর সহায়ক মূল্য ঘোষণার দাবি তুলল পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। বুধবার বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতরে এই দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয় ওই সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা কমিটির তরফে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিভাস দে বলেন, “চাষিদের কাছ থেকে কোনও নির্দিষ্ট দামে আলু কেনা হচ্ছে না। কোথাও ৩২০ টাকা, কোথাও ৩৭০ টাকা কুইন্টাল দরে আলু কেনা হচ্ছে। বাজারে আলুর চাহিদা না থাকায় দর ক্রমশ কমছে। এতে চাষিরা তাঁদের চাষের খরচ ওঠাতে পারছেন না।” তাঁর দাবি, সরকার ধানের মতো আলুর ক্ষেত্রেও সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করলে এবং কিছু আলু সরকার কিনে নিলে চাষিদের খানিকটা সুরাহা হবে।

সংরক্ষণ-কোপে পুরপ্রধান, বিরোধী নেতাও

নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী

সংরক্ষণের কোপে পড়লেন সোনামুখীর বামফ্রন্ট পুরপ্রধান কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে, ওই পুরসভার বিরোধী নেতা তৃণমূলের সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ও একই কারণে নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। সরকারি ভাবে প্রকাশিত সংরক্ষণ তালিকায় পুরপ্রধানের জেতা ২ নম্বর ওয়ার্ড এ বার তফসিলি জাতি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ওই পুরসভার বিরোধী নেতার জেতা ১১ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়েছে সাধারণ মহিলাদের জন্য। এই পুরসভার মোট আসন ১৫ (বামফ্রন্ট ৮, তৃণমূলের ৭)। সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১, ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জাতি। এর মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি জাতি মহিলা এবং ৫, ৮, ১১, ১৪ সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, “নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে না পারলেও দল যেখানে দাঁড়াতে বলবে সেই ওয়ার্ডেই লড়ব।” একই বক্তব্য বিরোধী নেতারও।

প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া

রেল বাজেটে রাজ্যের প্রকল্পগুলিতে অর্থবরাদ্দ না করায় শুক্রবার প্রতিবাদ সভা করল এসইউসি। উপস্থিত ছিলেন দলের জেলাকমিটির সদস্য স্বপন নাগ-সহ আরও অনেকে। স্বপনবাবু বলেন, “রেল বাজেটে এই রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে। বাঁকুড়ায় চলতে থাকা ছাতনা-মুকুটমণিপুর বা বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর রেল প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। এ ছাড়া ট্রেনের ভাড়াও কমানো হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

পুড়ে ছাই খড়ের পালুই

নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার

আগুন লেগে এক চাষির খড়ের পালুই ভস্মীভূত হল। শুক্রবার সকালে মানবাজার থানার সিন্দুরপুর গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের বাসিন্দা, স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের প্রধানশিক্ষক দয়াময় বাউরি বলেন, “সকালে দেখি পড়শি জগন্নাথ মাহাতোর খামার বাড়ি থেকে ধোঁয়া উঠছে। সামনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল খড়ের গাদায় আগুন লেগেছে।” জগন্নাথবাবু বলেন, “কী ভাবে আগুন লাগল বুঝতে পারছি না। আমাদের এখানে রাস্তার কাজে ট্যাঙ্কে করে জল ছেটানো হচ্ছিল। ওই ট্যাঙ্ক নিয়ে এসে পাইপ লাগিয়ে জল ছিটিয়ে আগুন আয়ত্তে আনি। সময়মতো নেভাতে না পারলে পাশাপাশি আরও খড়ের চালার বাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।”

স্কুলের পত্রিকা

নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়পুর

বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ের পত্রিকা ‘উন্মেষন’ প্রকাশিত হল পুরুলিয়ার জয়পুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অর্চনা চৌধুরী জানান, সম্প্রতি এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধক্ষ্য সুষেণচন্দ্র মাঝি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জনস্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

ডিভিসি ক্রিকেট

ডিভিসির অলভ্যালি টি ২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সম্প্রতি শুরু হয়েছে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে (এমটিপিএস)। উদ্বোধন করেন এমটিপিএসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের নানা জায়গা থেকে ডিভিসি-র বিভিন্ন প্রকল্পের ১২টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। শুক্রবার এমটিপিএসের মাঠে দু’টি সেমিফাইনাল খেলা হয়। একটিতে এমটিপিএস ৪০ রানে হারায় বোকারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে এমটিপিএস ১৫৭ রান করে। জবাবে ১১৭ রানে আটকে যায় বোকারোর ইনিংস। অন্য সেমিফাইনালে জয়ী হয়েছে মাইথন প্রজেক্ট। প্রথমে ব্যাট করে মাইথন ২৫৬ রানের বিশাল টার্গেট ফেলে দেয় প্রতিপক্ষ দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে। সেই চাপ নিতে পারেনি দুর্গাপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯১ রান তুলতে সমর্থ হয় দুর্গাপুর।

চ্যাম্পিয়ন বারকুড়ি

মানবাজার থানার বড়তোড় গ্রামের মাঠে সম্প্রতি ২০ দিন ধরে চলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। আয়োজক সংস্থা বারকুড়ি কল্যাণ সঙ্ঘের সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ছ’বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। চূড়ান্ত খেলায় ১৫ ওভারে বারকুড়ি কল্যাণ সঙ্ঘ ১০ রানে হারায় বিসরি ক্লাবকে। প্রথমে ব্যাট করে বারকুড়ি সব উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তোলে। জবাবে ৬৮ রান করে বিসরি। ফাইনাল ম্যাচে মাঠে দর্শক হিসাবে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মাহাতো এবংএলাকার প্রাক্তন ক্রীড়াবিদরা উপস্থিত ছিলেন। সুজয়বাবু মাঠটি সংস্কারের জন্য ক্লাব কর্তাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর উদ্যোগে সম্প্রতি বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙা সরস্বতী ক্লাবের মাঠে প্রতিবন্ধীদের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় সাড়ে ৪০০ প্রতিযোগী অংশ নেন। হুইলচেয়ার রেস, বলছোড়া, দৌড়ের মতো মোট আটটি ইভেন্ট ছিল। উদ্যোক্তা সংগঠনের অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য অরুণ ধবল জানান, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে রণ-পা ও ছৌ নাচের দল নিয়ে এলাকা পরিক্রমা করা হয়।

বাঁকুড়ায় ভলিবল

বাঁকুড়ার পশ্চিম সানাবাঁধ মডার্ন ক্লাবের উদ্যোগে সানাবাঁধ হাইস্কুলের মাঠে হয়ে গেল দিনরাতের ভলিবল প্রতিযোগিতা। জেলার মোট ১২টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। ফাইনালে কাটজুড়িডাঙা নবারুণ সঙ্ঘ ২-০ সেটে পরাজিত করে বাঁকুড়ার কাটনার জাতীয় সঙ্ঘকে। ক্লাবের সদস্য তথা বিকনা ক্ষীরোদপ্রাসাদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।”

দু’টি চুরি

দু’টি চুরির ঘটনা ঘটল দুবরাজপুরে। প্রথম চুরিটি হয়েছে হেতমপুরের একটি ক্লাবঘরে। সেখান থেকে টিভি ও নগদ টাকা দুষ্কৃতীরা নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। দ্বিতীয় চুরিটি হয়েছে একটি পাম্পসেট। যেটি গড়গড়া গ্রামের কাছে শাল নদীতে ছিল। যদিও লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

brief story puru tukro
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE