Advertisement
১৯ মে ২০২৪

টুকরো খবর

‘বহিরাগত’কে প্রার্থী করা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিষ্ণুপুরে। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে দল এ বার প্রার্থী করা হয়েছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীকান্তবাবু কোনও কাজই করেননি। তাই এমন ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর বেলা দাসের মুখেও।

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৫
Share: Save:

বহিরাগত প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষোভ তৃণমূলে

নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর

‘বহিরাগত’কে প্রার্থী করা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিষ্ণুপুরে। শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে দল এ বার প্রার্থী করা হয়েছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীকান্তবাবু কোনও কাজই করেননি। তাই এমন ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর বেলা দাসের মুখেও। তিনি এবং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা দীপাল দাসও স্পষ্ট বলছেন, “এলাকার বাসিন্দারা শ্রীকান্তকে মেনে নিতে চাইছেন না। দলীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তার পরেও সিদ্ধান্ত বদল হয়নি। বাসিন্দাদের ক্ষোভ থামানো যাচ্ছে না। এর পরে যা হওয়ার হবে!” অন্য দিকে, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে অভিজিত্‌ সিংহকে প্রার্থী করা নিয়েও একই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল কর্মী রাজীবকান্তি রায় (বাপ্পা)। আর তৃণমূলের এই দলীয় কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করতে চাইছেন বিরোধীরা। সিপিএম ও বিজেপি নেতাদের দাবি, “এ বার লড়াই একতরফা নয়। লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি!” যদিও তৃণমূলের বিদায়ী উপপুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বিরোধীদের এই দাবি উড়িয়েই দিয়েছেন। তাঁর দাবি, “গত বার বিরোধীরা তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল। এ বার ওদের শূন্যতে নামিয়ে ১৯টি ওয়ার্ডেই আমরা জিতব।”

আনন্দমার্গের ট্যাবলো

নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাতরঞ্জন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে রাঢ়বঙ্গের অন্যতম জেলা পুরুলিয়ার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ‘ট্যাবলো’ পরিক্রমা করল জেলার বিভিন্ন ব্লকে। গত ৩০ মার্চ পুরুলিয়ার আনন্দনগর থেকে এই ট্যাবলো যাত্রা শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় যাত্রা শেষ করল ট্যাবলোটি। এ দিন এই উপলক্ষে শহরের ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে একটি সভাও করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে পরীক্ষিৎ মাহাতো জানিয়েছেন, পুরুলিয়া জেলায় যে সম্পদ রয়েছে তাঁকে ব্যবহার করে কিভাবে জেলার উন্নয়ণ ঘটানো যেতে পারে সেই বার্তা প্রচারের উদ্দেশ্যেই এই পরিক্রমার আয়োজন করা হয়েছিল।

ভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক বিষ্ণুপুরে

নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর

হাজির সোনামুখী ও বিষ্ণুপুরের প্রার্থীরা।—নিজস্ব চিত্র

ভোটের আগে বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরসভার সব প্রার্থী এবং সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে হওয়া ওই সভায় নির্বাচনী আচরণবিধির যাবতীয় নির্দেশিকা এ দিন তুলে ধরেন তিনি। কারও কাছে উত্তেজনাপ্রবণ বলে মনে হচ্ছে, এমন বুথের কথাও জানতে চাওয়া হয়। বৈঠক শেষে মহকুমাশাসক বলেন, “ভোটের প্রচার সংক্রান্ত কোনও বাধা বা অন্য কোনও বিষয়ে অভিযোগ আমরা পাইনি। ’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার বিষ্ণুপুর পুরসভার মোট ভোটার ৫২ হাজার ৭৫৫। বুথের সংখ্যা ৬৩। ১৯টি ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী ৬৫। সোনামুখী পুরসভায় মোট ভোটার ২২ হাজার ১৪৩। বুথের সংখ্যা ২৯। ১৫টি ওয়ার্ডে প্রার্থী সংখ্যা ৫২।

ঋণ পেতে হয়রানি

একদিকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে কাজের সুযোগ ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে যথেষ্ট হয়রান হতে হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুললেন তুলে সরব হলেন বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ইঁদপুর ব্লকের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্মেলনে ওই অভিযোগ ওঠে। এ দিন ইঁদপুরের ব্রাহ্মণডিহা অঞ্চলের ভালুকবাসা গ্রামের ফুটবল মাঠে ব্লকের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বার্ষিক সম্মেলন ছিল। ব্লকের ৫৬টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাঁরা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ইঁদপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসীম পাঠক। সম্মেলনের উদ্যোক্তা ব্রাহ্মণডিহা মাতঙ্গিণী সঙ্ঘের সম্পাদক অর্চনা মণ্ডল বলেন, “১০০ দিন প্রকল্প, মিড-ডে মিল, মৎস্য ও পশু পালন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সহ নানা প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যুক্ত। এ জন্য আমরা বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকে নানা সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। দিন দিন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু বর্তমানে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে সে ভাবে কাজ মিলছে না। মিড-ডে মিল রান্না করে মাসে যা আয় হচ্ছে তাও অত্যন্ত কম। কাজের ক্ষেত্র ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। ব্যাঙ্ক থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের ঋণ পেতে আমাদের চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।” সম্মেলনে উপস্থিত পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সত্যি। বিষয়টি সরকারি আধিকারিকরা গুরুত্ব দিয়ে দেখলে সমস্যা কমবে।’’

জল-সঙ্কট মেডিক্যালে

জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। ওয়ার্ডের ভিতরে জলের জোগান থাকলেও হাসপাতাল চত্বরের জলসত্র, নলকূপগুলি থেকে জল না পড়ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে গরমের শুরুতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীর আত্মীয়েরা। অনেককেই পানীয় জলের বোতল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার অনেকে কল থেকে জল ভরে আনতে বাইরে যাচ্ছেন। পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহির বাসিন্দা সমরেশ হালদার তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছেন বাঁকুড়া মেডিক্যালে। জল না পেয়ে তাঁর ক্ষোভ, “হাসপাতালের ওয়ার্ডে জল রয়েছে। কিন্তু বাইরে কোথাও জল পাচ্ছি না। জলের ট্যাঙ্ক থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে জল পড়ছে। নলকূপগুলিতেও অকেজো হয়ে পেছে। খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের।” সমস্যার কথা মেনে নিয়ে হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডুও। তিনি বলেন, “জলের সমস্যা হচ্ছে। কী করে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা যায় আমরা দেখছি।” বাঁকুড়ার চিকিৎসক তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকারের অভিযোগ, “তৃণমূল সরকারের আমলে চিকিৎসা পরিষেবা ডকে উঠেছে। পুরসভাও এগিয়ে আসছে না।” বাঁকুড়া পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “হাসপাতাল জলের বিষয়টি পুরসভার আওতায় পড়ে না। তবে জলের গাড়ি চাইলে পাঠানো হবে।’’

স্মারকলিপি

সহায়ক মূল্যে ৭ টাকা কেজি দরে আলু কেনা, একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরি দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার গড়বেতা- ১ ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছে কংগ্রেস। নেতৃত্বে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া। পাশাপাশি এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেতৃত্ব।

মৃত দুই

বাস ও পিক আপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দু’জনের। বুধবার ভোরে পটাশপুর থেকে বালিচকগামী রাস্তার তাপিন্দা ও অযোধ্যাপুরের মাঝে পুষা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের নাম বাপন বর্মন (২০) ও শ্রীকান্ত রায় (৩৫)। বাপনের বাড়ি তমলুকের শ্রীরামপুরে। শ্রীকান্ত সবংয়ের দেহাটির বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় আহত হন ৬ জন যাত্রী। আহতদের পটাশপুর প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ও পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

puru tukro
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE