লগ্নি সংস্থা কর্তার ঝুলন্ত দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী
অফিসের মধ্যেই মিলল এক লগ্নি সংস্থার কর্মকর্তার ঝুলন্ত দেহ। বৃহস্পতিবার রাতে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে স্নেহাংশু সরকার (৪৫) নামে স্থানীয় একটি অর্থ লগ্নি সংস্থার কর্তার গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি বড়জোড়ার পখন্নায়। স্নেহাংশুবাবুর প্যান্টের পকেট থেকে ‘সুইসাইড নোট’ মিলেছে। তাতে লেখা ছিল, আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।স্নেহাংশুবাবু পখন্না পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন। এলাকায় তাঁর ভাল প্রভাবও ছিল। বছর তিনেক আগে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে তিনি ওই অর্থলগ্নি সংস্থা শুরু করেন। সোনামুখীতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে দোতলায় খোলা হয় অফিস। নীচের তলায় স্নেহাংশুবাবু পরিবার নিয়ে থাকতেন। মূলত সোনামুখী ব্লক এলাকা থেকে তাঁরা লগ্নি সংগ্রহ করেছিলেন। সেই টাকায় তাঁরা জমি কেনাবেচা করতেন। এ ছাড়া বোতলবন্দি জল বিক্রি করার মতো কয়েকটি ব্যবসাতেও তাঁরা টাকা ঢেলেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই স্নেহাংশুবাবুর খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজ করতে এসে পুলিশ গভীর রাতে বন্ধ অফিসের ভিতরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তাঁর স্ত্রী এ দিন কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। মৃতের ভাই নরেন সরকার বলেন, “লগ্নিকারীদের টাকা ব্যবসায় খাটিয়ে লাভ করতে না পারায় দাদা অবসাদে ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে দাদাকে মনমরা দেখি। কিন্তু আত্মহত্যা করবে ভাবতে পারিনি।”
উল্টো জাতীয় পতাকা
দড়িতে টান দিতেই দেখা যায়, জাতীয় পতাকা উল্টো দিকে রয়েছে। শুক্রবার সিউড়িতে জেলা প্রশাসনের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ওই ঘটনা নজরে আসতেই ভুল শুধরে নেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। তারপর রীতি মেনেই তিনি পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় থাকা তথ্য সংস্কৃতি দফতর না নাজিরখানা, এমন ভুল হল কার গাফিলতিতে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক মানস দাস অবশ্য বলেছেন, “অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। কারা দায়িত্বে ছিলেন, দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy