Advertisement
২৩ মে ২০২৪
Winter at Birbhum

উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গী হয়ে জেলায় এল শীত

জেলাবাসীর উপলব্ধি, শনিবার সকাল থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁয়ে গিয়েছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সকাল থেকে ঠান্ডার দাপট আরও বেড়েছে।

শীতের শুরুতে বোলপুরের সিয়ান গ্রামে লেপ বিক্রি করতে বেরিয়েছেন ফেরিওয়ালা।

শীতের শুরুতে বোলপুরের সিয়ান গ্রামে লেপ বিক্রি করতে বেরিয়েছেন ফেরিওয়ালা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫০
Share: Save:

এল শীত। উত্তুরে হাওয়া তেমনটাই জানান দিচ্ছে।

সোমবার বীরভূমের তাপমাত্রা নেমেছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। যা এই মরসুমে সর্বনিম্ন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মানলে দিন কয়েক আরও নামবে তাপমাত্রা। হালকা শীতের অল্পবিস্তর গরম পোশাক ছেড়ে ভারী পোশাকের খোঁজ শুরু হয়েছে।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাতাসে বাতাসে শিরশিরে আমেজ টের পাচ্ছিলেন জেলাবাসী। ভেবেছিলেন শীত বোধহয় একটু আগেই এসে পড়বে। তবে সেই আশা পূরণ হয়নি। মাঝে তাপমাত্রা নামলেও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ উত্তুরে হাওয়ার গতিপথ আটকে দিয়েছিল। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব একটা নামেনি। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের পরে বৃষ্টির প্রভাব কেটে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হতেই ফিরল শীত।

জেলাবাসীর উপলব্ধি, শনিবার সকাল থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁয়ে গিয়েছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সকাল থেকে ঠান্ডার দাপট আরও বেড়েছে। ঠান্ডা বাতাসও বইছে। নিম্নচাপের মেঘ সরতেই উত্তরবঙ্গে শীত পড়েছে জাঁকিয়ে। শৈলশহর দার্জিলিঙের তাপমাত্রা নেমেছে ৬.৪ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকের থেকে যা ২ডিগ্রি কম। তাপমাত্রা নেমেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা হাওয়ার প্রভাব ক্রমশ বাড়বে। আগামী তিন দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। সেই পূর্বাভাস সত্যি হয়েছে এ দিন।

শান্তিনিকেতন আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, রবিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৯ ডিগ্রি। আগে পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপামাত্রা পারদ ১৪। গত ২৩ নভেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু ওই এক দিনই। তারপর থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। শনিবার থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। রবিবার দিনভর শিরশিরে হাওয়া চলেছে। এখন শীত কতদিন স্থায়ী হবে তা না ভেবে এই আমেজকেই উপভোগ করতে চান জেলাবাসী।

তবে হালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে দু’দিনে গড়ে ৪৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে শুধু ধান, আলু সর্ষে নয়, ক্ষতি হয়েছে আনাজ চাষেরও। ফলে আনাজের দাম প্রত্যাশিত ভাবে কমার সম্ভাবনা একটু কম। শীতের প্রকোপে হাল্কা সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট অ্যালার্জিজনিত রোগেরও প্রাদুর্ভাব ঘটে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শীত উপভোগ করলেও যাঁদের সমস্যা রয়েছে তাঁদের সাবধানে থাকতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Birbhum Winter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE