Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Christmas

বড়দিনের প্রার্থনার পরেই বন্ধ লালগির্জা

জমায়েত যাতে সংক্রমণের কারণ না হয়, সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন গির্জা কমিটির চেয়ারম্যান অচিনকুমার নাথ।

আয়োজন: সিউড়িতে চার্চ সাজাচ্ছে খুদেরা। ছবি: শুভদীপ পাল।

আয়োজন: সিউড়িতে চার্চ সাজাচ্ছে খুদেরা। ছবি: শুভদীপ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:০৭
Share: Save:

আজ বড় দিন। কিন্তু, বড়দিনের সকালে প্রার্থনার পরেই বন্ধ হয়ে যাবে চার্চের গেট। কোভিড পরিস্থিতিতে ভিড় এড়ােত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিউড়ির অল সেন্টস্ চার্চ কর্তৃপক্ষ।

বড়দিন হোক বা ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন। অল সেন্টস্ চার্চে (শহরবাসী অবশ্য চার্চকে চেনেন লালগির্জা নামে) ভিড় জমান প্রচুর দর্শনার্থী। বিশেষ করে সন্ধ্যায় প্রচুর মানুষ আসেন।

মোমবাতি জ্বালান অনেকেই। কিন্তু, কোভিড পরিস্থিতিতে সেই জমায়েত যাতে সংক্রমণের কারণ না হয়, সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন গির্জা কমিটির চেয়ারম্যান অচিনকুমার নাথ।

চার্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার্চ আলো ও বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। যে ভাবে বড়দিনের সকালে প্রার্থনাসভা হয় বা তার আগের দিন প্রার্থনা হয় সে সব হবে। তার পরেই নোটিস টাঙিয়ে সকলের জন্যই বন্ধ হয়ে যাবে গেট। সিদ্ধান্ত এমনই।

সিউড়ি পশ্চিম লালকুঠি পাড়ায় ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই গির্জাটি রয়েছে বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের দুমকা-র আওতায়। মোট ৩৭ শতক জায়গার উপরে গির্জাটির নির্মাণ কাল ১৮৭৬ সাল। আদতে সেই সময় দুটি গির্জা তৈরি হয়েছিল সিউড়িতে। তবে সুদৃশ গির্জা ছিল লাল গির্জাই।

কড়ি, বর্গা ও ইটালিয়ান টাইলস দিয়ে মাছের আঁশের আকৃতিতে তৈরি সেই গির্জা শহরের স্মৃতি আগলে রেখেছে। চার্চের বহিরঙ্গে এখন কিছু পরিবর্তন হলেও ওই চার্চ নিয়ে স্থানীয়দের আবেগ আগের মতোই। বিশেষ করে বড়দিনের প্রার্থনা ও ইংরেজি নতুনের সূচনায়। তবে সেই আবেগ আপাতত স্থিমিত থাকবে করোনার জন্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Christmas Church Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE