শেষমেশ জট কাটল আদালতের নির্দেশে।
একই মালিকানাধীন সিউড়ি, মযূরেশ্বরের চারটি বেসরকারি ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) কলেজের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হল। দিন তিনেক আগে সিউড়ির একটি কলেজের ৫০ জন ছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। বাকি তিনটি কলেজের ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হল শুক্রবার।
প্রসঙ্গত, পাঠ্যক্রমের জন্য ফি নিলেও রেজিস্ট্রেশন করানোয় কোনও ভূমিকা নেয়নি কলেজ। দ্রুত যাতে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন হয়, সেই দাবিতে সিউড়ির দু’টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের ছাত্রীরা গত ২০ মার্চ জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।
প্রশাসনের কাছে তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ভর্তি হন তাঁরা। ক্লাসও করছেন। কিন্তু, পরীক্ষা দেওয়ার ন্যূনতম শর্ত হিসাবে যে রেজিস্ট্রেশন এক বছরের মাথায় হয়ে যাওয়া উচিত ছিল, ফি নিলেও সেটাই এখনও করেননি দুই কলেজের কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীদের আশঙ্কা ছিল, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন সময়ে না হলে পুরোটাই পণ্ডশ্রম হবে। কোর্স ফি বাবদ ইতিমধ্যেই তাঁরা লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ফেলেছেন। সেটাও জলে যাবে বলে আশঙ্কা ছিল পড়ুয়াদের।
যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্য দায়ী করেছিল পর্ষদকেই। ওই ডিএলএড কলেজের কর্ণধার রাইহান উল হকের দাবি ছিল, ২০১২ সাল থেকে কলেজগুলি চলছে। তিনটি ব্যাচ বেরিয়েছে এখান থেকে। তার পরেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রেজিস্ট্রেশন করতে না চাওয়াতেই এই সমস্যা। এমনকী, মামলা করার পরে কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর নভেম্বরে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করানোর নির্দেশ দিলেও তা পর্ষদ মানেনি বলে অভিযোগ। এর পর ছাত্রীদের তরফে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। রাইহান বলছেন, ‘‘গত ১১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ষদকে কলেজের পড়ুয়াদের রেজিষ্ট্রেশন দ্রুততার সঙ্গে করানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। তার পরেই পর্ষদ রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম পাঠিয়েছে।’’ ছাত্রীরা বলছেন, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy