—ফাইল চিত্র।
চাঁদা তোলা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হল। ‘ক্লোজ়’ করা হল বোরো থানার ওসিকে। সোমবার রাতে পুরুলিয়া জেলার বোরো থানার ফুলবেড়িয়া গ্রামে ওই গোলমাল বাধে। ওই কনস্টেবল স্থানীয় জামতোড়িয়া ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
পুরুলিয়ার জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া এ দিন বিকেলে বলেন, ‘‘ওই এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাঁদা তোলা নিয়ে সোমবার গোলমাল হয়। সেখানে সাদা পোশাকের এক পুলিশ কর্মী তাঁর ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও কেন ছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, পুরো ঘটনার তদন্ত করতে এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাতে এসডিপিও জানান, ফুলবেড়িয়া গ্রামের ঘটনার জেরে বোরো থানার ওসিকে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ়’ করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তুলিন ফাঁড়ির কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বদলি হওয়া ওসি তুফান দাঁ-র মন্তব্য, ‘‘পুলিশ সুপারের নির্দেশ মতো পুলিশ লাইনে যোগ দিচ্ছি।’’
এ দিকে সোমবার রাতের ওই ঘটনার একটি ‘ভিডিয়ো ফুটেজ’ (যদিও ফুটেজ়ের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ছড়িয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে কখনও ট্রাকের পিছনে, কখনও একটি বাড়ির থামে বেঁধে হেনস্তা করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই ব্যক্তিই জামতোড়িয়া ফাঁড়ির কনস্টেবল।
এ দিন বেলায় ফুলবেড়িয়া গ্রামে গেলে এলাকার এক বাসিন্দা নবকুমার পানি দাবি করেন, তিনি চাষের ধানের কিছুটা অংশ বিক্রি করার জন্যে সোমবার বিকেলে ট্রাকে তুলছিলেন। সেই সময়ে ওই কনস্টেবল ট্রাক চালকের কাছে এসে ফাঁড়ির কালী পুজোর জন্য চাঁদা দাবি করেন। চালক পরে দেবেন বলায় বচসা বাধে। সেই সময়ে ওই কনস্টেবল ট্রাকের চাবি খুলে নেন বলে অভিযোগ।
পরে কনস্টেবল ট্রাকটি থানায় নিয়ে যাবেন বলে নিজেই চালানোর চেষ্টা করলে তা পাশের একটি বাড়িতে ধাক্কা মারে।
বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দুর্ঘটনার জেরে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সার দিয়ে গাড়ি আটকে যাওয়ায় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে কনস্টেবলের উপরে। পরে কনস্টেবলের ফোন পেয়ে বোরো থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
ওই কনস্টেবলের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে বোরো থানার পুলিশের দাবি, ধান তোলার সময় ওই কনস্টেবল গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলেন। চালক কাগজ দেখাতে পারেননি। উল্টে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ তাঁর উপর চড়াও হন। যদিও ওই ঘটনা নিয়ে কোনও তরফেই রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy