Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

চিকিৎসা কেমন চলছে, পরিদর্শন

পরিদর্শন শেষে জেলাশাসক বলেন, ‘‘সরাসরি ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে ৩৫ জনের মতো ভর্তি রয়েছেন। ডাক্তার-নার্স রয়েছেন কি না, তা দেখা হয়েছে। ওয়ার্ডে চিকিৎসক রয়েছেন।’’

 রোগীদের সঙ্গে ডিএম। নিজস্ব চিত্র

রোগীদের সঙ্গে ডিএম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৪:১৪
Share: Save:

করোনা রোগীদের চিকিৎসা কেমন চলছে, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা জেলা কোভিড হাসপাতালে পরিদর্শনে যান জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) আকাঙ্ক্ষা ভাস্করও। সেখানে রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, চিকিৎসা পরিষেবা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।

পরিদর্শন শেষে জেলাশাসক বলেন, ‘‘সরাসরি ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে ৩৫ জনের মতো ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো কেমন রয়েছে, ডাক্তার-নার্স রয়েছেন কি না, তা দেখা হয়েছে। ওয়ার্ডে চিকিৎসক রয়েছেন।’’ পরে তাঁরা দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ‘সারি’ (সিভিয়ার অ্যাকিকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন) ওয়ার্ডেও যান। সেখানেও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলা স্তরে কোভিড হাসপাতালগুলিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তার আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ‘প্রোটোকল ম্যানেজমেন্ট’ দলের সদস্য-চিকিৎসকেরা জঙ্গলমহলের তিন জেলার কোভিড হাসপাতালগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

সূত্রের খবর, সেই সফরে পুরুলিয়া কোভিড হাসপাতালে কিছু ত্রুটি দলের চিকিৎসকদের নজরে আসে। সফরের পরে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় কোভিড হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করতে আট দফা নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে জেলার কোভিড হাসপাতালে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে যৌথ ভাবে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি দেখভালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি ‘র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’ গড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

সম্প্রতি জারি করা ওই নির্দেশিকার পরে, এ দিন জেলা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার কী অবস্থা, তা দেখতে হাসপাতালে যান জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসক। ‘পিপিই’ পরে তাঁরা ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। কারও কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না, তা জানতে চান। রোগীদের দুপুরের খাবারও পরীক্ষা করেন জেলাশাসক।

কোভিড রোগীদের চিকিৎসার প্রশ্নে চিকিৎসক-দলের কিছু ত্রুটি নজরে আসা প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, ‘‘আগে কী হয়েছে, জানি না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা আসার পরে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী এখানে চিকিৎসক থাকছেন। চিকিৎসক, নার্সদের থাকার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা যাতে নির্বিঘ্নে কাজে আসতে পারেন, সে জন্য তাঁদের পরিবহণের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE