ঠিকঠাক পরিষেবা মেলে না, কর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন, এমন কিছু অভিযোগ তুলে ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকদের একাংশ। শুক্রবার পুরুলিয়ার আড়শা থানার কাঁটাডিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার সামনে প্রথমে বিক্ষোভ ও পরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ওই গ্রাহকেরা। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
কাঁটাডির ওই ব্যাঙ্কের কর্মীদের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন গ্রাহকদের একাংশ। বৃহস্পতিবারে এক গ্রাহকের প্রতি কর্মীদের দুর্ব্যবহারের আরও একটি ঘটনা সামনে আসার পরেই এ দিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে মকবুল রহিম, দিলীপ গরাই, চিত্ত মাহাতো, রতন মাহাতোদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কাঁটাডি থেকে ছয়-সাত কিলোমিটার দূরের চাটাহাঁসু গ্রামের এক বৃদ্ধ গ্রাহক ব্যাঙ্কে এসেছিলেন টাকা তুলতে। তাঁর কাছে থাকা ব্যাঙ্কের পাসবুক নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশ ওই বৃদ্ধকে ব্যাঙ্ক থেকে বের করে তাঁকে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করেন।
শুক্রবার শতাধিক গ্রাহক ব্যাঙ্ক খোলার আগেই ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকী ব্যাঙ্কের মূল দরজায় তালাও ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে আসে আড়শা থানার পুলিশ। তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। অভিযোগ, একে উপযুক্ত পরিষেবা মেলে না, তার উপরে অধিকাংশ কর্মী খারাপ ব্যবহার করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ ডাকার হুমকি দেন কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখানোর পরে বেলা ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কের সামনে পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়ক অবরোধও করেন ওই গ্রাহকেরা। এক ঘণ্টার অবরোধে আটকে পড়েন আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৌশল্যা সহিস। তাঁর কাছেও ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করেন গ্রাহকেরা। কৌশল্যাদেবী জানান, কাঁটাডির ওই ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অতীতেও অভিযোগ পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি জানানোর আশ্বাস দেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের মধ্যস্থতায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এক গ্রাহক চিত্ত মাহাতো বলেন, ‘‘আমাদের সমস্ত ক্ষোভের কথা জানিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।” ওই ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার কুলদীপ কেরকেট্টার যদিও দাবি, বয়স্ক গ্রাহককে মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁর সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু মারধর যে করা হয়নি, তা সিসিটিভি দেখলেই পরিষ্কার হবে। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রাহকদের কিছু বক্তব্য রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy