Advertisement
১৬ মে ২০২৪
MEMU Passenger

আনাড়ায় মেমু রক্ষণাবেক্ষণের কেন্দ্র করছে রেল

দক্ষিণ-পূর্ব জ়োনে আদ্রার এই প্রকল্পটি হবে খড়্গপুরের পরে দ্বিতীয় প্রকল্প। ডিআরএম জানান, কম-বেশি আশি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে প্রকল্পের কাজে।

A Photograph representing MEMU passenger train

আনাড়ায় মেমু রক্ষণাবেক্ষণের প্রকল্পটি হলে আদ্রা রেল ডিভিশন বেশ কিছু সুবিধা পাবে, মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। প্রতীকী ছবি।

শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল
আদ্রা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৮
Share: Save:

পুরনো রেল কামরার পুনরুজ্জীবনের জন্য কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলমন্ত্রক। ২০১০-এ তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনাড়ায় প্রকল্পটির শিলান্যাস করেন। সে সময়ে সেটি ছিল রেলের এ ধরনের দ্বিতীয় প্রকল্প। তার পরে তবে গতি পায়নি সেই প্রকল্প। বর্তমানে সেই জমিতে ‘মেমু রক্ষণাবেক্ষণ শেড’ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। আদ্রার ডিআরএম মণীশ কুমার বলেন, ‘‘দরপত্র ডাকার কাজ শেষ। কাজের বরাত পেয়েছে রেলেরই সংস্থা, পটনার ওয়ার্কশপ প্রজেক্ট।”

রেল সূত্রের খবর, দক্ষিণ-পূর্ব জ়োনে আদ্রার এই প্রকল্পটি হবে খড়্গপুরের পরে দ্বিতীয় প্রকল্প। ডিআরএম জানান, কম-বেশি আশি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে প্রকল্পের কাজে। তবে ওই জমিতে থাকা সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পে লাগানো গাছ কাটার জন্য বন দফতরের কাছ থেকে অনুমোদন এখনও না মেলায় কাজ শুরু করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘গাছ কাটার অনুমোদনের জন্য বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত অনুমোদন মিলবে।”

আনাড়ায় মেমু রক্ষণাবেক্ষণের প্রকল্পটি হলে আদ্রা রেল ডিভিশন বেশ কিছু সুবিধা পাবে, মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব জ়োনে একমাত্র খড়্গপুরে থাকা শেডে পাঁচটি ডিভিশনের মেমুর কামরা রক্ষণাবেক্ষণের চাপ থাকে। রেলের আধিকারিকেরা জানান, নির্দিষ্ট সময়ের পরে মেমু ট্রেন ও মেমুর কামরা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে খড়্গপুরে কাজের চাপ থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের পরে কামরা পেতে প্রায়শই বেশ দেরি হয়।

রেলের আধিকারিকেরা মনে করাচ্ছেন, করোনার পরে জনজীবন স্বাভাবিক হলেও শুধু মেমু কামরার অভাবে সব লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সময় লেগেছে। কারণ, লকডাউনে ট্রেন বন্ধ ছিল। পরে ট্রেন চালানোর আগে কামরার রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল রেল মন্ত্রক। কিন্তু সেই সময়ে খড়্গপুরে কাজের প্রবল চাপ থাকায় কামরা পেতে দেরি হয়। এ ছাড়াও, অনেক সময়ে কোনও রেক বিগড়োলে তার বিকল্প খড়্গপুর থেকে সময়ে পাওয়া যায় না বলে দাবি। বাধ্য হয়ে ট্রেন বাতিল করতে হয়। ডিআরএম বলেন, ‘‘ডিভিশনের মধ্যেই মেমু রক্ষণাবেক্ষণ শেড থাকলে অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাব আমরা। খড়্গপুরের উপরে নির্ভরতা কমবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE