খাতড়া উত্তরপল্লি সর্বজনীনের মণ্ডপ। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়
সবুজ বাঁচানোর আহ্বানে ‘দাও ফিরে সে অরণ্য’ থেকে বাঁকুড়ার টেরাকোটা শিল্প, জুরাসিক ওয়ার্ল্ড, পুকুরের জলে ভাসমান মন্দির-সহ নানা চমক থাকছে খাতড়া শহরের কালীপুজোর মণ্ডপে। তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
দক্ষিণ বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের কালীপুজো জাঁকজমকের সঙ্গে হয়। বিভিন্ন পুজো কমিটি একে অন্যকে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা চালান। তাই বড় পুজো উদ্যোক্তাদের থিম কী, তা নিয়ে পুজোর আগে ক’দিন চর্চা চলে এলাকায়।
শহরের পুরাতন বাজারে খাতড়া উত্তরপল্লি সর্বজনীন কমিটির পুজোয় থিমের চমক থাকে বরাবর। এ বার তাদের থিম, সবুজ বাঁচানোর আহ্বান। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, দিন দিন জঙ্গল কেটে ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখার বার্তা নিয়ে সবুজ বাঁচানোর আহ্বানে এই থিম। থাকছে বাঁশ, চট সহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে নজরকাড়া বিভিন্ন কাজ।
খাতড়া গোল্ডেন সূর্য ক্লাবের পুজোর থিম টেরাকোটা শিল্প। উদ্যোক্তারা জানান, দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে বাঁকুড়ার টেরাকোটা শিল্পের সুনাম রয়েছে। এই কাজের আরও প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে টেরাকোটার বিভিন্ন শিল্প সামগ্রীতে তাঁরা মণ্ডপ সাজাচ্ছেন।
খাতড়া রবীন্দ্রসরণি ফ্রেন্ডস ক্লাব কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে। বাঁশ, চটের মতো উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই মণ্ডপ।
খাতড়া মেধাবী সঙ্ঘ এ বার তৈরি করছে প্রদীপের মণ্ডপ। থাকছে ১০৮টি প্রদীপ। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে আলোকসজ্জা। খাতড়া জলডবরা নাইন স্টার ক্লাব এ বার পুকুরে মাঝখানে জলের উপরে তৈরি করছে ভাসমান শিবমন্দির। পুকুরের মাঝে লোহার পাইপের খুঁটি পুঁতে তার উপরে খাঁচা বেঁধে বাঁশ, চট দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। সেখানে দেবীর প্রতীকী মূর্তি থাকলেও পুজো হবে সামনের স্থায়ী মন্দিরে। পুকুর পাড় থেকে দর্শনার্থীদের দেখতে হবে ভাসমান মন্দির।
খাতড়া কংসাবতীতে লিজেন্ড ক্লাব তৈরি করছে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড। বাঁশ চট দিয়ে তৈরি পাহাড়ের আদলে মণ্ডপ। থাকছে ডায়নোসরের মডেল। এছাড়াও রয়েছে খাতড়ার ঐতিহ্যবাহী শশ্মানকালী মন্দিরের পুজো। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে সেখানকার পুজো দেখতে।
খাতড়া থানার আইসি সমিত ভট্টাচার্য জানান, খাতড়া ব্লকে এ বার প্রায় ১২৫টির কালীপুজো হচ্ছে। এই পুজো ঘিরে সর্বত্রই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy