হাসপাতাল চত্বরে চলছে কাজ। ছবি:নিজস্ব চিত্র।
ডাঁই হয়ে পড়ে থাকা বর্জ্য নিয়ে কুকুর-শুয়োরদের কাড়াকাড়ি। কোথাও পড়ে রয়েছে ছেঁড়া চাদর, কোথাও রক্ত মাখা তুলো। পাঁচিলের গায়েও আড়াল খুঁজে শৌচকর্ম সারেন কেউ কেউ। কমবেশি প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের এটাই পরিচিত দৃশ্য। ব্যতিক্রম ছিল না বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও। এ বার এখানকার সেই ছবিই বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরেপর অধীন মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেট হাসপাতাল চত্বরকে ঢেলে সাজাতে চলেছে। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থ। পুরোদমে কাজ শুরুর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
বাঁকুড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল চত্বরের সৌন্দর্যায়নের জন্য। বাঁকুড়া পুরসভার মাধ্যমেই সেই কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার ডেকে ঠিকা সংস্থাকে কাজের বরাত দিয়ে দিয়েছে পুরসভা। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সংলগ্ন ফাঁকা জায়গাকে ঘিরেই সৌন্দর্যায়নের কাজ হচ্ছে। একটি ফোয়ারা তৈরি করা হবে। ফোয়ারাকে ঘিরে বিশেষ আলোকসজ্জাও থাকবে। গোটা চত্বরটিতে বিভিন্ন রকমের ফুল এবং পাতাবাহার গাছ লাগানো হবে। বাগান তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। মহাপ্রসাদবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান বাঁকুড়া মেডিক্যাল চত্বরে সৌন্দর্যায়ণ হোক। তাঁরই উদ্যোগে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
ঘটনা হল রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই ধাপে ধাপে বাঁকুড়া মেডিক্যাল চত্বরের রাস্তা থেকে গাড়ি পার্কিং-এর জায়গা নতুন করে সাজানো শুরু হয়েছে। হাসপাতালে ঢোকার মূল প্রবেশপথের খোলনলচে বদলে ফেলে আধুনিক ভাবে গড়া হয়েছে। তবে অনেকখানি জায়গা নিয়ে তৈরি হওয়ায় এই হাসপাতালের ভিতরের ফাঁকা জায়গার অপরিচ্ছন্নতার ছবির তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “সৌন্দর্যায়ন হলে রোগীদেরও মানসিক উন্নতি হবে। হাসপাতালের পরিবেশ আরও স্বাস্থ্যকর হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে হাসপাতালের চেনা ছবিটা এ বার বদলাবে বলে আশায় জেলাবাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy