ফুল হাতে দাসী বাউরি। নিজস্ব চিত্র
রোজ রেঁধেবেড়ে পড়ুয়াদের খাওয়াতেন দাসী বাউরি। অবসর গ্রহণের দিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে সংবর্ধনা পেয়ে চোখে জল এসে গেল তাঁর।
বুধবার অবসর গ্রহণ করেন মানবাজার ১ চক্রের চড়কি নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘মিড ডে’ মিলের রাঁধুনি দাসী। এ দিন তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁর বসার জন্যও আলাদা চেয়ারের ব্যবস্থা ছিল। অনুষ্ঠানে অভ্যাগতরা যখন তাঁর কাজের প্রশংসা করছিলেন, তখন শাড়ির আঁচলে বারবার চোখ মুছতে দেখা যায় দাসীকে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত রজক বলেন, ‘‘মিড-ডে মিল প্রকল্পের তহবিল থেকে সান্মানিক পান রাঁধুনিরা। তাঁরা রান্না করে পড়ুয়াদের খাওয়ান। তাই তাঁরাও শিক্ষাকর্মী। এক জন শিক্ষককে অবসরের দিন যে ভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয়, রাঁধুনিরাও সে সম্মানের অধিকারী।’’ উপহার হিসেবে ফুলের তোড়া, মিষ্টির প্যাকেট ও শাড়ি উপহার পেয়েছেন তিনি। সম্মান পেয়ে আপ্লুত দাসী বলেন, ‘‘আমার মতো সামান্য এক রাঁধুনিকে স্কুলের সবাই যে ভাবে সম্মান দিলেন, তা কোনওদিনভোলার নয়।’’
স্কুলের সহশিক্ষক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়, বন্দনা বাউরি, মৃন্ময়ী বাউরিরা বলেন, ‘‘দাসীদিদি আমাদের অভিভাবকের মতো ছিলেন। এমন কিছু খুদে পড়ুয়া রয়েছে, যারা ঠিকমতো খেতে পারত না। উনি দাঁড়িয়ে থেকে খাওয়ার তদারকি করতেন।’’ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মানবাজার ১ চক্রের শিক্ষাবন্ধু পার্থসারথি সরকার।
মানবাজার ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুদীপ বেরা বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ একজন রাঁধুনিকে অবসর গ্রহণের দিন যে ভাবে সম্মানিত করেছেন, তা নজির হয়ে থাকবে।’’ বিডিও (মানবাজার ১) মোনাজকুমার পাহাড়ি বলেন, ‘‘চড়কি স্কুলের শিক্ষকেরা দৃষ্টান্তমূলককাজ করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy