প্রতীকী ছবি।
হাতে মাত্র দেড় মাস। এখনও মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছল না টেস্ট পেপার। এতে প্রস্তুতিতে গুরুতর সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা।
কেন এমন হল, তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে অনেকের মনে হয়েছে মাদ্রাসা পর্ষদ এবং ছাপাখানার মধ্যের সমন্বয়ের অভাবই এর জন্য দায়ী। তবে তা প্রকাশ্যে মানেনি কেউ। মাদ্রাসায় এমন অবস্থা হলেও স্কুল পর্যায়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য টেস্ট পেপার পৌঁছে গিয়েছে। সেই মতো প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে পরীক্ষার্থীরা।
দুই ভিন্ন ছবি সামনে আসায় মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘এটা মাদ্রাসাগুলির সঙ্গে বৈষম্য করার সামিল।’’ তৃণমূল প্রভাবিত বীরভূম জেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি ফজলে মৌলা করিম জানান, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত এই শিক্ষাবর্ষে বীরভূমে হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিল পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০। এ ছাড়াও ১২০০ বহিরাগত পরীক্ষার্থী। টেস্ট পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর শেষ হয়েছে। নতুন বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাদ্রাসা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। অথচ এখনও এল না টেস্ট পেপার!
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ২৭টি মাদ্রাসায় হাইমাদ্রাসা, আলিম, ফাজিল পরীক্ষার্থীদের জন্য জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং বিত্ত নিগম দফতর থেকে টেস্ট পেপারগুলি বিলি করা হয়। সোমবার পর্যন্ত ওই অফিসে টেস্ট পেপার এসে পৌঁছায়নি। জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং বিত্ত নিগম আধিকারিক শামস তবরেজ আনসারি জানান, টেস্ট পেপার পৌঁছতে কেন দেরি হল, তা নিয়ে প্রেসের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত টেস্ট পেপার পৌঁছে যাবে বলে প্রেসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে এখনও সরকারি নির্দেশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসে পৌঁছায়নি।
এ দিকে, মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের টেস্ট পেপার বিলি নিয়ে বিগত বছরের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। তাঁরা জানান, পরীক্ষা শুরুর দশ দিন আগে মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীরা টেস্ট পেপার পেয়েছিল। সে ক্ষেত্রে টেস্ট পেপার ধরে ধরে অনুশীলন করার সুযোগ পায়নি শিক্ষার্থীরা। এ বছরও তেমন হবে না তো, ভেবেই শিউড়ে উঠছেন সকলে। কেন এমন হবে, সেই প্রশ্নও ঘুরছে শিক্ষক-ছাত্র মহলে। এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘এতে তো টেস্ট পেপার তৈরির আসল উদ্দেশ্যই মার খাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy