এ ভাবেই পাচার। নিজস্ব চিত্র
নিত্য নতুন কায়দায় বালি পাচার চলছে। প্রশাসনকে সে সব জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। সেই ক্ষোভে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয়েরা।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বরের পুকুরপাড়া এলাকায় কোনও বৈধ বালি-ঘাট নেই। তারপরেও ওই এলাকা সংলগ্ন ময়ূরাক্ষী নদী থেকে বেশ কিছু দিন ধরে বালি পাচার চলছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ না হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে পুকুরপাড়া বাসট্যান্ডে সিউড়ি-বহরমপুর সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। আধ ঘণ্টা পরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। গ্রামবাসীর অনেকের অভিযোগ, ওই সব বালি মাফিয়ারা নদীর পাড়ের নীচেই বালি তুলতে শুরু করেছেন। এর ফলে পাড় ভেঙে বন্যা পরিস্থিতির পাশাপাশি লাগোয়া সড়কও নদীর গ্রাসে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাতেও প্রশাসনের কোনও হেলদোলই নেই।
কী ভাবে চলছে পাচার?
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নদীরের উপরে স্তরে ভাল বালি পাওয়া না গেলে কিংবা নদীতে জল থাকলে পাম্প মেশিনে জল তোলার মতোই তোলা হচ্ছে বালি। একটি নৌকার নীচে প্রায় ৫০ ফুট গভীর পর্যন্ত মেশিনের সাহায্যে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ১৫/২০ ফুট ব্যাসার্ধের পাইপ। নৌকার উপরে রাখা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিনের মাধ্যমে ওই পাইপ দিয়ে টেনে তোলা হচ্ছে নীচের ভাল মানের বালি। তারপর তা পাইপ-লাইনের মাধ্যমেই জল নেই এমন জায়গায় জড়ো করা হচ্ছে। সেখান থেকেই যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন গাড়ি বোঝাই হয়ে তা পাচার করা হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, শাসকদলের নেতাদের প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ প্রশ্রয়ে বালি পাচার চলছে বলে প্রশাসন গা করছে না। সে অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর ২ এর ব্লক সভাপতি নারায়ণ প্রসাদ চন্দ্র। তাঁর দাবি, ‘‘দলের কেউ কোনও ভাবে বালি পাচারে যুক্ত নন। রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত গায়েন বলেন, ‘‘সবে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি জানা নেই। তবে পথ অবরোধের বিষয়টি শুনেছি। সেচ এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy