ফাইল চিত্র।
পড়ুয়া ভর্তির অনুমোদন পেল পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কমিশনের আওতাধীন ‘মেডিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রেটিং বোর্ড’-এর অনুমোদনপত্র সোমবারই এসে পৌঁছেছে। কলেজের অধ্যক্ষ পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২০-২১) থেকে পড়ুয়ারা এখানে ভর্তি হতে পারবেন। ১০০টি আসনের অনুমোদন মিলেছে।’’
রাজ্যে পালাবদলের পরে, পুরুলিয়া শহরের কাছে হাতোয়াড়ায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়তে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। সেই মোতাবেক কাজও শুরু হয়। পরে ২০১৬-তে রাজ্য সরকারের তরফে পুরুলিয়ায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা ঘোষিত হয়। হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসেই মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। এর পরে গত বছরের মে-তে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)-এর প্রতিনিধিরা কলেজ পরিদর্শনে আসেন। সে সময়ে পরিকাঠামোগত কিছু ত্রুটি নজরে আসায় প্রয়োজনীয় অনুমোদন মেলেনি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, তখন নতুন মেডিক্যাল কলেজের জন্য ‘এমসিআই’ অনুমোদন দিত। বর্তমানে ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের আওতাধীন ‘মেডিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রেটিং বোর্ড’-ই এই অনুমোদন দেয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বোর্ডের প্রতিনিধিরা পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে আসেন। আগের পরিদর্শনের সময়ে যে ত্রুটিগুলি নজরে এসেছিল, সেগুলি মেটানো ছাড়াও, অনুমোদন মেলার প্রশ্নে যে বিষয়গুলি বাধা হতে পারে, সেগুলিও নজরে রাখা হয়েছিল।
এ দিকে, ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কমিশনের অনুমোদন মিলেছে ‘পুরুলিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজ’-এর নামে। গত নভেম্বরে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর মেডিক্যাল কলেজের নাম বদলে ‘দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ’ হিসেবে ঘোষণা করে। সেই নামে কলেজের অনুমোদন না আসায় কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘২০১৮-তে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। যে নামে আবেদন করা হয়েছিল, সে নামেই অনুমোদন মিলেছে। নাম বদলের বিষয়টি পরবর্তীতে ঘটেছে। বিষয়টি রাজ্য স্তরে জানানো হবে।’’ অনুমোদন মেলা নিয়ে জেলা রোগী কল্যাণসমিতির চেয়ারম্যান তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়াবাসীকে কথা দিয়েছিলেন। কথা রেখেছেন। জেলার মানুষ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy