Advertisement
০১ জুন ২০২৪

নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল ছাত্র

কংসাবতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, বছর আঠারোর নিখোঁজ ছাত্রের নাম শুভঙ্কর মাহাতো। পুরুলিয়া শহরের দুলমি এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে সে থাকে। হুড়ার লক্ষ্মণপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে সে পড়ে।

কংসাবতী নদীতে চলছে ছাত্রের খোঁজ। সুজিত মাহাতোর তোলা ছবি।

কংসাবতী নদীতে চলছে ছাত্রের খোঁজ। সুজিত মাহাতোর তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৫ ০১:২৪
Share: Save:

কংসাবতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক ছাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, বছর আঠারোর নিখোঁজ ছাত্রের নাম শুভঙ্কর মাহাতো। পুরুলিয়া শহরের দুলমি এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে সে থাকে। হুড়ার লক্ষ্মণপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে সে পড়ে।

রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া মফস্‌সল থানা এলাকার কংসবতী নদীতে। সাঁতারে দক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীতে নামিয়ে ওই তরুণের খোঁজ শুরু করে প্রশাসন। বিকালের দিকে রঘুনাথপুর থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তাঁরা প্রশিক্ষিত ডুবুরি না হওয়ায় তাঁদের জলে নামাতে ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত সাঁতারে পারদর্শী স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাকে ওয়াটার জ্যাকেট ও ওয়াটার ক্যামেরা দিয়ে সেতুর পিলারের গর্তের জলে নামানো হয়। কিন্তু ক্যামেরাতেও খোঁজ মেলেনি শুভঙ্করের। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের হাজার খানেক বাসিন্দা কংসাবতীর সেতুর উপরে উদ্ধারকাজ দেখতে ভিড় জমান।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পুরুলিয়ার মহকুমাশাসক (সদর) সৌম্যজিৎ দেবনাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, ডিএসপি (প্রশিক্ষণ ও আইন শৃঙ্খলা) কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ জানিয়েছে, নদীতে খোঁজ চালানোর জন্য রঘুনাথপুর থেকে সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীদের আনা হয়েছে। সন্ধান না মিললে পরবর্তী সময়ে লালবাজার থেকে সাঁতারু আনা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে পুরুলিয়া-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে কংসাবতী নদীর সেতুর নীচে সাত-আট জন বন্ধুর সাথে স্নান করতে নেমেছিল শুভঙ্কর। সেখানেই শুভঙ্কর নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ ছাত্রের বন্ধুরা পুলিশকে জানিয়েছে, নদীতে জল কম থাকায় নদীর অন্য পাড়ে হেঁটে যাচ্ছিল তারা। সেই সময় হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় শুভঙ্কর। তার এক বন্ধু সুমন্ত পালের কথায়, ‘‘নদীতে জল কম থাকায় আগে পিছে লাইন দিয়ে আমরা নদী পেরোচ্ছিলাম। হঠাৎই দেখি শুভঙ্কর নেই। নিজেরাই খোঁজাখুজি করি।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, সেতুর একটি পিলারের নীচে বড় গর্ত রয়েছে। সেখানে গভীর জল এবং চোরা স্রোত রয়েছে। সেখানেই তলিয়ে যেতে পারে ওই তরুণ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওই ছাত্রের বাবা গোপেশ্বর মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘বেলার দিকে মোবাইলে একটা ফোন পেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল শুভঙ্কর। তারপর কী যে হল...।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kangsabati Student River purulia DSP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE